মহানবীকে বিরুপ মন্তব্যে ফের উত্তাল ভোলা, গৌরাঙ্গের বিচারের দাবীতে
জাভেদ মাহামুদ ফিরোজঃ-
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী ও ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা (উত্তর) শাখার আয়োজনে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জুময়ার নামাজের পর ভোলা হাটখোলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে আর সেটি বার বার আমাদের ভোলায় হচ্ছে। ভোলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চান না তাই এখনও হিন্দু মুসলিমসহ অন্যান সকল ধর্মের মানুষ একত্রে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। কোনো কু-চক্রী মহল ভোলার মানুষের এই সাম্প্রদায়িক বন্ধন নষ্ট করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
ইতোপূর্বেও ভোলার বোরহানউদ্দিনেও মহানবীকে কটূক্তি করা হয়েছে কিন্তু কটূক্তিকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ায় চক্রান্তকারীরা ফের মহানবী ও ইসলাম ধর্মকে বার বার অবমাননা করার সাহস পাচ্ছে। তাই আল্লাহর রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মকে অবমাননাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে সংসদে আইন পাশ করার দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া ইসকনকে হিন্দু সম্প্রদায়ের জঙ্গি সংগঠন আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন এই সংগঠনের কাজই হলো যেখানে সেখানে সাম্প্রদায়য়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। তাই উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকনের সকল কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে বন্ধ করার দাবি জানা বক্তারা। এছাড়াও বক্তারা ভোলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ দে’র ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে মহানবীকে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে ভোলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিক্ষোভ ও দাবির মুখে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মহানবীকে কটূক্তির জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে গৌরাঙ্গ কে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। মুফতি ইয়াসিন নবীপুরীর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মাও. তাজউদ্দিন ফারুকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাও. আতাউর রহমান মমতাজী, সাধারণ সম্পাদক মাও. মোঃ তরিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা, মাও. আবদুল মমিন, মাও. মোঃ ইস্রাফিল আলম প্রমুখ।