আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

চরফ্যাসনে কলেজছাত্রী নীপার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

হাবিবুর রহমান, দুলারহাট প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ঢাকা উদ্যান কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী নীপা বেগম (১৬) নামের কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়রা।
১৫ এপ্রিল সোমবার সকালে চরফ্যাসন পৌর শহরে বিক্ষোভ শেষে ফ্যাশন স্কয়ারে এই মানববন্ধন করা হয়। এ সময় নীপা বেগমের মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন তার স্বজনেরা।
মানববন্ধনে নীপার বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের সমস্ত শরীরে ক্ষতবিক্ষত আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। আমি নিশ্চিত নীপার স্বামী রায়হানুল হক মুগ্ধ, শাশুড়ি মাহমুদা খানম মিলিসহ অন্যরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। দ্রুত সময়ে সব আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নীপার বাবা হেলাল উদ্দিন।
মানববন্ধনে চরফ্যাসন টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান তুহিন বলেন, নীপার শাশুড়ি মাহমুদা খানম মিলির যে কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে তার কথায় আমরা স্পষ্ট, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করব, নীপার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যেন নিরপেক্ষ তদন্ত হয়।
এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কারামাতিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. নুরুল আমিন, প্রভাষক নুরে আলম জিকু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এনমুল আহসান আসিব, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি মোশারেফ হোসেন মুন্না প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নয়মাস পূর্বে রায়হানুল হক মুগ্ধ সম্পর্ক করে নীপা বেগমকে বিয়ে করে ঢাকা আদাবর থানাধীন মোহাম্মদীয়ায় বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করতেন। ৭ এপ্রিল নীপার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে আদাবর থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় নীপার স্বামী রায়হানুল হক মুগ্ধ, শাশুড়ি মাহমুদা খানম মিলি, ননদ তানজিলা হল মীম ও শ্বশুর জহিরুল ইসলাম নান্টুকে আসামি করে ৮ এপ্রিল আদাবর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন নীপার বাবা হেলাল উদ্দিন।

ফেসবুকে লাইক দিন