ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বৃষ্টিপাত, সাগর উত্তাল
বিশেষ প্রতিনিধি:
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে গতকাল রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। দেশের সকল সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সৃষ্টি হওয়ায় পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এছাড়াও পটুয়াখালীতে মুগডালের মৌসুম চলমান থাকায় ডাল তুলে ঘরে তোলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।