আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ ইং, ৯ই জিলক্বদ, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

ঝালকাঠিতে নারীকে কুপিয়ে জখম

মোঃ মাছুম বিল্লাহ, কাঠালিয়া প্রতিনিধি: ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের রুনসি গ্রামে ইয়াসমিন বেগম (৫৩) নামের এক নারীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।রাতে ওই নারীর ঘরে
সিঁদকেটে ঘরে ঢুকে সাইদুল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি। আহত ইয়াসমিন বেগমের অভিযোগ সাইদুল হাওলাদার তাকে রাতের আধারে কুপিয়ে জখম করেছে।
বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইয়াসমিন বেগমকে কুপিয়ে দুই কানে থাকা স্বর্ণালংকার ছিড়ে নিয়ে যায়।তার মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরে আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত ইয়াসমিন বেগমের শরীরে ২৫ টি সেলাই লেগেছে।
আহত ইয়াসমিন বেগম ও তার পরিবার সুত্রে জানা যায় , প্রায় ১০ দিন পূর্বে প্রতিবেশি নান্নু মীরের হাস চুরি করে নেয় একই এলাকার সাইদুল হাওলাদারের ছেলে রায়হান।
এবিষয়টি আহত ইয়াসমিন বেগম দেখে ফেলে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফরিদ হোসেনের কাছে হাঁস চুরির কথা স্বীকার করে রায়হান। এর পর থেকে ইয়াসমিন বেগমের উপরে ক্ষিপ্ত ছিল সাইদুল ও তার ছেলে রায়হান। বেশ কয়েকবার তাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয় সাইদুল হাওলাদার ও রায়হান।
ঘটনার পর থেকে সাইদুল ও তার ছেলে রায়হান পলাতক রয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার এসআই মো. মুুহিত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গেলে সাইদুল হাওলাদারের বাবা শাহজাহান হাওলাদার পুলিশ দেখে দৌড়ে পালায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন,‘ শাহজাহান হাওলাদার তার ছেলে সাইদুল হাওলাদার ও নাতী মো. রায়হান এরা সকলেই চুরির সাথে সম্পৃক্ত। প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারনা এরাই ইয়াসমিন বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে।
ঝালকাঠি সদর থানার এএসআই মুহিত বলেন, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন