বোরহানউদ্দিনে যুবককে গণধোলাই দিয়ে চোখ তুলে দিল স্থানীয়রা

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে মো: হাসান (২৬) পিতা রতন মাঝি নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে চোখ তুলে দিয়েছে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। হাসান ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো: রতন মাঝি ছেলে। তাকে ভোলার বোরহানউদ্দির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি চিকিৎসক তাকে ভোলা সদর হসপিটালে প্রেরণ করেন। ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হসপিটালে প্রেরণ করেন।
৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের ঝিটকা বাজারে এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা হাসানকে গণধোলাই দিয়ে চোখে আঘাত করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে স্থানীয়দের দাবী হাসান একজন বখাটে যুবক। সে ওই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতো। এতে তার প্রতি অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসীরা।
আহত হাসানের বাবা রতন মাঝি সাংবাদিকদের জানান, দুই দিন আগে একই এলাকার রুবেল পক্ষের সঙ্গে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে হাসানকে ডেকে নিয়ে যায় একটি পক্ষ। ঝিটকা বাজারে গেলে ২০-২৫ জনের একটি দল তাকে অপহরণ করে মো. আলাউদ্দিনের বাড়ির কাছে নিয়ে যায় এবং সেখানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হাসানের দাবি, তিনি নির্দোষ এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়েছে। তার পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে।
এদিকে ৫ এপ্রিল শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের জিটকা বাজারে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে তারা বলেন বোরহানউদ্দিনে কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর স্থান হবেনা। আজ হাসানের এই পরিনতির জন্য যারা দাই তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোন হাসান তারা তৈরি করতে না পারে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে তারা ঝিটকা বাজার থেকে আহত অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।