জেলেদের জন্য টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের দাবিতে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জে মানববন্ধন

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে জেলেদের জীবন ও জীবিকা সুরক্ষায় টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের দাবীতে বুড়িদোন বাজার মৎস্য ঘাটে শতাধিক স্থানীয় জেলেগনের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সিসিআর প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার, রাজিব চন্দ্র ঘোষ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মৎস্য ব্যবসায়ী, মোঃ মাহাবুব ও মোঃ বাবুল, এছাড়া জেলেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতি ইউনিয়ন জেলে কমিটি মোঃ ইসমাইল মাঝি, জেলে মোঃ হাফেজ ও মোঃ সেলিম মাঝি প্রমুখ।
মানববন্ধনে সিসিআর প্রকল্পের জেলে কমিটি- সভাপতি, মোঃ ইসমাইল মাঝি বলেন, জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ, অবরোধকালিন সময়ের জন্য ভাতা প্রদান, সহজ শর্ত ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ এর ব্যবস্থা করা, ভূমিহীন জেলেদের সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসন, জেলে তালিকা যাচাই-বাছাই করুন ও প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধন, প্রতিটি সমুদ্রগামী ট্রলারে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার দাবী উত্থাপন করে। মানববন্ধনে বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রায়শই হঠাৎ হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়,সাইক্লোন শুরু হয়ে যায় তখন নদী/ সমুদ্রে থাকা বেশির ভাগ নৌকা বা ট্রলারে পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারি উপকরণ থাকে না। এছাড়া বেশির ভাগ জেলে পরিবার অতিদরিদ্র তারা অবরোধকালিন সময় ২৫ কেজি চাল তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।তাই জেলে নৌকা ও ট্রলারে জন্য
নিরাপত্তা উপকরণ প্রদান এবং অবরোধকালিন সময় ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদানের দাবী জানান। মোঃ বাবুল বলেন, জেলেদেরকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার দাবী জানাচ্ছি। খাদ্য ও স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জনের পথে কৃষক ও জেলেরা অভাবনীয় ভূমিকা পালন করছে, দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের যোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৎস্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রার শতশত কোটি টাকা আয়ের পথ সম্প্রসারন করে চলছে আমাদের এই জেলেরা, অথচ এই গুরুত্বপূর্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূলশক্তি সমুদ্রগামী জেলেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের অবহেলা,উদাসীনতা ব্যার্থতার কোন শেষ নেই। বছরের পর বছর জেলেরা নীরাপত্তাহীনতার মধ্যেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছে। মোঃ সেলিম মাঝি বলেন, জীবিকার প্রয়োজনে নদী ও সমুদ্রে ব্যাস্ত থাকা এই মানুষগুলো অবরোধ কালীন সময়ে হাত পা ঘুটিয়ে ঘরে বসে থাকেন, এই সময়ে কেউ জমানো টাকা খরচ করেন, কেউ ধারকর্জ করেন, কেউ ঘরের মালামাল বন্দক রাখেন, কেউ মহাজনের কাছ থেকে অগ্রীম দাদন নিয়ে দিনগুলি পার করে দেন। অথচ দিন চলে যায় ঠিকই কিন্তু সংকটের রেশ থেকে যায় আরও বহুদিন এ কারনে জেলেরা মাথা তুলে ধারাতে পারেনা, এছাড়াও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রকৃত জেলেরা পূর্নবাসন সহায়তা পান না।