রাস্তার পাশে ঝোপেঝাড়ে ফুটনো ভাট ফুলের সৌন্দর্যে সাজেছে প্রকৃতি।
মোঃ শাকিল আহমেদ, বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ রাস্তার পাশে, ঝোপ ঝাড়ে অনাদরে অবহেলায় বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদটি ভাট ফুল নামে পরিচিত। সবুজ বহুপত্রী ভাট গাছের ফুল ধবধবে সাদা। ফুল ফোটে থোকায় থোকায়। ভাট ফুলের গোড়ার দিকটা হালকা বেগুনি রঙের। প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধন ছাড়াও ঔষধি গুণ রয়েছে। খেলার সামগ্রী হিসেবে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় এই ফুল।
ফুল প্রেমী সাংবাদিক মোঃ মহসীন খান বলেন, ঋতুরাজ বসন্ত মানেই নানা বর্ণের ফুলের আগমন। গ্রাম বাংলার অতিপরিচিত উদ্ভিদ ভাট ফুল। অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নাম যেমন কইকোচা ডাল বলে থাকে অনেকে, তবে বেশির ভাগ এটা ভাট ফুল নামেই পরিচিত। যুগান্তরের প্রতিনিধি ও দৈনিক সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক মোঃ নেছার উদ্দিন বলেন, এক সময় গ্রামীণ জনপথে ভাট গাছ দেখা গেলেও এখন বসতবাড়ি বেড়ে যাওয়ায় ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। বন-জঙ্গল নিধন করা হচ্ছে। তাছাড়াও প্রতিবছর রাস্তা-ঘাট সংস্কার করায় গাছের সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে।
ভাট ফুলে আছে অনেক উপকারিতা। বিষাক্ত কিছু কামড় দিলে ফুলের রস ক্ষত স্থানে দিলে দ্রুত সেরে যায়। অনেকে কৃমি দূর করার জন্য এ ফুলের রস খেয়ে থাকেন। চর্ম রোগে নিয়মিত ফুলের রস ক্ষত স্থানে মালিশ করলে দ্রুত সেরে যায়। গরু-ছাগলের গায়ে উকুন হলে ভাট গাছের পাতা বেটে দিলে উকুন মরে যায়। কিন্তু আগের লোকজন ভাট ফুলের ভেষজ ঔষধিগুণ জেনে এসব চিকিৎসা করত। বর্তমান প্রজন্ম এ গাছের গুনাগুণ সম্পর্কে জানে না। তাই এ উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা জরুরি।
ভাট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। পাতা দেখতে কিছুটা পান পাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে একের পর এক ফুল ফোটে। পাপড়ির রঙ সাদা এবং পুষ্পমঞ্জরির মাঝে কলির অগ্র ভাগের রঙ বেগুনি। রাতে বেশ সৌরভ ছড়ায়।
পথ চারিরা বলেন রাস্তার পাশে জন্মানো এই ফুল গাছ , কোন সার, ঔষধ ছাড়াই হয়ে থাকে। রাস্তার পাশে এমন ফুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। অনেক সময় স্কুলের ছেলে মেয়েদের দেখা যায় ফুলগুলো যত্ন করে নিয়ে যেতে। আবার অনেকে গাড়িতে যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে সেলফি করতে দেখা যায়। তবে এই ফুলের তেমন কদর নাই কিন্তু সৌন্দর্য অনেক, ঘ্রান ও রয়েছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে মণে হয় যেন কেহ না কেহ এগুলো লাগিয়েছে।