আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

 মনপুরায় খুঁটি আছে বিদুৎ নাই!

নিউজ ডেস্ক: ভোলার থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা আটশ বছরের পুরানো দ্বীপ মনপুরা। এই উপজেলা ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১ নং মনপুরা ইউনিয়ন ২ নং হাজির হাট ইউনিয়ন ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন। ৩ টি ইউনিয়নে ২৪ ঘন্টা সৌরবিদ্যুতের সুবিধা থাকলেও বঞ্চিত ২ নং হাজির হাট ইউনিয়নের শতাধিক ব্যবসায়ী পরিবার। ২ নং হাজির হাট ইউনিয়নের সরকারি হাসপাতাল, থানা, আদালত, ভূমি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ব্যাংক এনজিও অফিস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অফিস রয়েছে।
উপজেলার ১০ কিঃমিঃ জুড়ে ওজোপাডিকোর হাজারো বিদুৎ খুঁটি থাকলেও বিদুৎ এর আলো দেখা যায়না একবারও। হাতে কলমে ৮ ঘন্টা বিদুৎ দেওয়া কথা থাকলো বর্তমানে সারাদিনে একবারও বিদুৎ আসেনা।গত কয়েক মাস ধরে উপজেলা ২ নং হাজির হাট ইউনিয়নের বিদুৎ সমস্যা কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
বিশেষকরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে। হাজিরহাট, বাধের হাট, ও ফকির হাট বাজারের ব্যবসায়ী জানায় প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। এতে দোকান অন্ধকার হয়ে পড়ে। অন্ধকার দোকানে ক্রেতারা প্রবেশ করে না। আইপিএসের ব্যাটারিতে ঠিকমতো চার্জ হয় না। অসহনীয় গরমে দোকানে বসাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিগত কয়েদিন মেশিনে সমস্যা বলে বিদুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিদুৎ সমস্যা কারণে ফ্রীজে থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কয়েক মাসে বিদুৎ সমস্যা কারণে চরম ভোগান্তিতে আছে মনপুরা হাসপাতালে রোগী ও ডাক্তারা, রোগীদের সাথে কথা বলে জানায় বিদুৎ না থাকায় বাচ্চাদের সঠিক সময়ে গ্যাস অনন্য চিকিৎসা সেবা নিতে পারিনা। রাতে হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে থাকে। গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা, মনপুরা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান অনিক জানান বিদুৎ না থাকার কারনে আমাদের রোগী দের সেবা দিতে বিলম্বনা পড়তে হচ্ছে। বিদুৎ কারণে শিক্ষা জীবনে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগে ৮ ঘন্টা বিদুৎ ছিলো কিন্তু এখন ১ ঘন্টাও বিদুৎ থাকে না রাতে টর্চ লাইট কিংবা কুপির আলোয় কোনমতো পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু অসহ্য গরমে পড়ালেখা করতে পারিনা আমরা।
বিদুৎ সমস্যা কারণে বন্ধের পথে ব্যাটারী চালিত আটো রিক্স। রিক্সা চালক ও গেরেজ মালিকরা জানান বিদুৎ না থাকায় ঠিক মত রিক্সা র্চাজ করতে পারছে না ।
মনপুরা উপজেলা ওজোপাডিকোর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ এর ৮৫০ জন গ্রাহক রয়েছে তাদের । ৫০০শ কেভির দুইটি ৬শ ৩০ কেভির একটি ১ মেঘাওয়াটের একটি ইঞ্জিন রয়েছে।
গ্রাহক ও জনসাধারণ দাবি অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হোক। এবং মনপুরা কে জাতীয় গ্রীড বিদ্যুৎ আওতায় আনা হোক।

ফেসবুকে লাইক দিন