ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাসের দাবিতে মানববন্ধন!!
মোস্তাফিজুর রহমান: ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার (১৩ মে) দুপুরে ভোলা পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনিরের উদ্যোগে শহরের সদর রোডে কে.জাহান মার্কেটের সামনে থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভোলার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির, গ্যাস সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক রবিউল আলম, ভোলা জেলা বিজেপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, পৌর প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন আহমেদ লিংকন, ভোলা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন, আরটিভি প্রতিনিধি অমিতাভ রায় অপু, ভোলা জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি অবিনাশ নন্দী প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভোলায় বর্তমানে বাপেক্স এর অধীনে ৯ টি গ্যাসকূপ রয়েছে। ৯টি কূপ হতে প্রতিদিন ১৫০ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা রয়েছে। ভবিষ্যতে দৈনিক আরও প্রায় ১০০ মিলিয়নসহ ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পক্ষান্তরে ভোলায় বর্তমানে গৃহস্থালিতে ০.৭ মিলিয়ন গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু ভোলার জনগণের নূন্যতম গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা বিবেচনা না করে ভোলার উৎপাদিত গ্যাস অন্য এলাকার গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করে ভোলা জেলার বাহিরে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
যেহেতু দেশের যাবতীয় সম্পদের মালিক সরকার, সেহেতু সরকার যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু ভোলার জনগণকে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় গৃহস্থলী কাজে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে অন্যত্র নিলে ভোলাবাসীর কোনো আপত্তি থাকবে না। উৎপাদিত গ্যাসের শুধুমাত্র ২%-৩% গ্যাস ভোলাবাসীকে গৃহস্থলী খাতে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে দেশের অন্যান্য শিল্প কারখানায় সরবরাহের পদক্ষেপ নিলে ভোলাবাসী উপকৃত হবে।
তারা বলেন, বর্তমানে ভোলাতে ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৩টি শিল্প কারখানা এবং ২৩৫০টি আবাসিক সংযোগে গ্যাসে ব্যবহার হচ্ছে। ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস দেওয়ার জন্য সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ডিমান্ড নোট এর মাধ্যমে প্রায় ৭০০-৮০০ গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা জমা নেওয়া সত্যেও দীর্ঘ ৪ বছরের অধিক সময় ধরে গ্রাহকরা গ্যাস পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
ভোলাবাসীর দাবি, ভোলায় যেহেতু ৯টি গ্যাস কূপ রয়েছে সেহেতু শাহবাজপুর গ্যাস কোম্পানী নামে আলাদা গ্যাস কোম্পানী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভোলার গ্যাস পরিচালনার দাবি জানায়। তারা আরো বলেন ভোলার গ্যাস দ্বারা ভোলাতেই শিল্প কারখানা গড়ে তুলে গ্যাস সরবরাহ এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ দিতে হবে। এই দাবি পূরণ করা না হলে ভবিষ্যতে হরতাল ও অবরোধের মত কঠিন কর্মসূচী দিতে তারা বাধ্য হবে।