আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ সোমবার, ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং, ৫ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

দৌলতখানে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপজেলা প্রশাসন

এম এ তাহের (দৌলতখান প্রতিনিধি): ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ভোলার দৌলতখানে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ উপজেলার মেদুয়া,মদনপুর,চরপাতা,ভবানীপুর,হাজিপুর, সৈয়দপুর ও দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজের শেষ সম্বল ও মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে ফেলে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের অনেকেই কর্মহীন হয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা।
গতকাল (২৮ মে ) মঙ্গল বার বিকেলে দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর সহ উপজেলার বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।এসময় তিনি ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানিবন্ধী হয় শত শত পরিবার।পানিতে ভেসে যায় শত শত পুকুরের মাছ ও কৃষি ফসল।ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এই এলাকার অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েগেছে।ঘরের মধ্যে হাটুপানি থাকায় অনেক পরিবার উনন জ্বালাতে পারছে না।অনেকেই অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন।খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ছুটেযান দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ঘুরে মানুষের খোঁজখবর নেন।ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাদ্য বিতরণ করেন তিনি। এসময় তিনি যেকোন দূর্যোগ কালীন সময়ে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে জনগণকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানান। এ সময় তিনি জানান ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতিমধ্যে সরকার কাজ শুরু করেছেন।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঘরচাপায় নিহত আবুল কাশেম (৫৫) ও মাইশা( ৪) এর বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং সরকারের সহযোগিতা পৌঁছে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মুন্নি ইসলাম, দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান বাচ্চু।

ফেসবুকে লাইক দিন