আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ বুধবার, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মে, ২০২৪ ইং, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী

ভোলায় তিন দিনব্যাপী বেসিক জার্নালিজম প্রশিক্ষণ শুক্রবার সমাপ্ত হয়েছে

প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে। জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের জন্য একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান- পিআইবি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) সাংবাদিকতায় মানবসম্পদ উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। পিআইবি সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি ও বিষয়ভিত্তিক এবং সময়ের প্রয়োজনে ইস্যূভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স/কর্মশালা ও সেমনিারের মাধমে কমরত সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত মান ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য পরেবেশনের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করা। কর্মরত সাংবাদিকদক/গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ গণমাধ্যম বিষয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে সাংবাদিকতার মানন্নোয়ন এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পিআইবি ভোলায় ৩৫ জন করে দুটি ব্যাচে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রথম ব্যাচে সাংবাদিকদের নিয়ে বেসিক জার্নালিজম প্রশিক্ষন কোর্সটি ২৭ মার্চ থেকে শুরু করে। সমাপ্ত হয় শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪। সমপানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে অংশগ্রহণ করেন তোফায়েল আহমেদ, এমপি, সবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তিনি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সকল সাংবাদিকদের শভেচ্ছা জানান এবং প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞান নিয়ে সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরে সমাজ ও মানুষের উন্নয়নে সহযোগি ভুমিকা পালন করার আশা ব্যক্ত করেন। সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলার কন্ঠের সম্পাদক, এম হাবিবুর রহমান এবং প্রফেসর আব্দুল গফুর, অধ্যক্ষ ভোলা সরকারি কলেজ, কোর্স সমন্বয়কারী, শাহ আলম সৈকত, পিআইবি, অমিতাভ রায় অপু, সম্পাদক প্রেসক্লাব। সভাপ্রধান জাফর ওয়াজেদ প্রথমে নির্ধারিত সেশনটি পরিচালনা করেন, এসময় তিঁনি প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে নীতিদীর্ঘ বক্তব্য রাখেন, সাংবিদকতার গুরুত্ব আলোচনা করতে গিয়ে তিঁনি ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ভোলার চিত্র তুলে ধরে বলেন সে সময় সাংবাদিকরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করেছিলেন। যার কারণে বিশে^ ভোলার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অবগত হয়েছিলেন। পাশাপাশি ভোলার সম্ভাবনাময় বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ভোলার পর্যটন শিল্প, গ্যাস, প্রাকৃতিক সম্পদ, মৎস্য সম্পদ এবং সমুদ্র অর্থনীতির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি ভোলা জেলা সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভোলার উন্নয়নে আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতার তোফায়েল আহমেদ, এমপি এর ভুমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন তোফায়েল আহমেদ ভোলাকে সিংগাপুরে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এক্ষেত্রে সাংবাদিকবৃন্দ প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সঠিক ভুমিকা পালনের অনুরোধ করেন, যাতে আপনারাও উন্নয়নের অংশীদার হতে পারেন। গত বুধবার থেকে পিআইবি’র তিন দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণটি শুরু হয়। প্রথম দিনে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আরিফুজ্জামন, জেলা প্রশাসক, ভোলা এবং মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, নির্াহী প্রযোজক, জিটিভি জনাব মোঃ আরিফুজ্জামান স্মার্ট বাংলাদেশ ও তথ্য অধিকার আইন নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন। সাংবাদিকরা কিভাবে তথ্য পাবেন, আইনে কি বলা আছে তিনি ধারাবাহিকভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের ভুমিকা নিয়ে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। দ্বিতীয় সেশনে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সংবাদ ধারণা, সংবাদ সূচনা, সংবাদ শিরোনাম, বিভিন্ন ধরণের রিপোর্টিং ও রিপোর্র্ট লেখার কৌশল নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট এ বিশ্লেষণ ও অংশগ্রহণকারীদের মতামত প্রদানের মাধ্যমে সেশনটি পরিচালনা করেন তৃতীয় সেশনটি সংবাদের সূত্র ও সংবাদের সোর্স নিয়ে অংশগ্রহণ ও পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সমাপ্ত করেন। দ্বিতীয় দিনে রুহুল আমিন রুশদ, সিনিয়র বার্তা, সম্পাদক বাংলাভিশন প্রথম সেশনটি গণমাধ্যমে ভাষা ও শব্দের প্রয়োগ, ফিচার, ফেইক নিউজ নিয়ে সেশন সমাপ্ত করেন। দ্বিতীয় সেশনটি পরিচালণা করেন শাহ আলম সৈকত সাক্ষাতকার গ্রহণের কৌশল সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও নীতিমালা দিয়ে সেশন সমাপ্ত করেন। তৃতীয় দিনে ড. মো. আশরাফুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়াপার্সন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনুসন্ধানী রিপোর্ং নিয়ে বিস্তারিত ও মনমুগ্ধকর আলোচনার মধ্য দিয়ে সেশন সমাপ্ত করেন। তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব নিয়ে সেশন পরিচালনায় বলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সাংবাদিকতা সংবাদ পত্রের মর্যদা বৃদ্ধি ও জনপরিসরে এর গুরুত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক ভ’মিকা পালন করে। যে পত্রিকাতে যত বেশি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করে, পাঠক সে পত্রিকার ব্যাপারে ততই আগ্রহী হয় ও পত্রিকাটি মর্যদার আসনে বসে যায়। জনাব আশরাফ অনুসন্ধানী সায়বাদিকতার গুরুত্ব, কৌশল, ঝুকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন