ভোলায় ৮ মালবাহী জাহাজে ডাকাতির অভিযোগ!
স্টাফ রিপোর্টার!! ভোলার মেঘনায় ৮টি মালবাহী কার্গোতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতারা জাহাজগুলোর গতিরোধ করে কূলে ভিড়িয়ে তাতে লুন্ঠনের ঘটনা ঘটায় বলে কার্গো জাহাজের স্টাফরা অভিযোগ করেছেন। রোববার ভোলার মেঘনা নদীর শাহবাজপুর নৌ-চ্যানেলের ইলিশা সংলগ্ন ভাংতির খাল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষর্শী ও জাহাজ মালিকপক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা মাছ ব্যাবসায়ী ফারুক বেপারী নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে চট্রগ্রামগামী মালবোঝাই কার্গোগুলোর গতিরোধ করে সেগুলোকে কুলে ভিড়িয়ে তাতে গনলুট চালায়। ক্যাডাররা জাহাজগুলোর কর্মচারীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। তারা জাহাজের মালামাল ও টাকা পয়সা লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। জাহাজের কর্মচারীদের ডাক-চিৎকারে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা নিরব ও মঞ্জু নামেরস স্থানীয় দুই ট্রলার চালককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে ওই চালকদ্বয় জানিয়েছেন।
লুটকৃত জাহাজ এমভি “বিজয়ের”সুকানী জাফর, এমভি হাবিবা সিপা’র সুকানী সুমন ও এমভি নিলয়-৪ নামক জাহাজের সুকানী জলিলসহ অন্যান্য কার্গোগুলোর লোকজন জানান,তাদের মালবাহী জলযানগুলো আটকে ডাকাতরা লুটতরাজ চালিয়েছেন। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় জেলে ও মাঝিমাল্লারা জানান,এলাকার চিহ্নিত দূর্বৃত্ত ফারুক বেপারীর নেতৃত্বে কামাল মাঝি, জয়নাল,ইসমাইল,জসিম,সফিক,মনির,
আকতার,ফরিদ,মাহফুজ,খোকন,সুমন ও জাকিরসহ একদল সন্ত্রাসী হামলা আর লুটতরাজ চালায়। শুধু তা-ই নয় ডাকাতরা আরো মোটাদাগের টাকার দাবীতে জাহাজগুলো নদীপাড়ে আটকে রেখে পাহাড়া দিতে দেখা গেছে। জাহাজের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিষয়টি প্রথমে ইলিশা ফাঁড়ির পুলিশকে অবহিত করলেও তারা কোনপ্রকার সহযোগিতা পাননি বলে জানান।পরে সদর থানাকে ডাকাতির বিষয়টি অবগত করা হয়। ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে অফিসারসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি এনায়েত হোসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি এসব ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দাবী করেন।