আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভোলার বরেণ্য সাংবাদিক এম হাবিবুর রহমানকে জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা

 

অনলাইন ডেস্ক :

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ বিশেষ সম্মাননা পাওয়ায় ভোলার বরেণ্য দৈনিক বাংলার কণ্ঠের সম্পাদক ও ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমানকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ রবিবার (১৯জুন) দুপুরে ভোলা জেলা সমন্বয় সভায় তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়ে।এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জেলা সমন্বয় সভার একজন সম্মানিত সদস্য। স্বাধীনতা পূর্বকাল থেকে অদ্যাবধি তৃণমূল সাংবাদিকতায় তার বিশেষ অবদাম রয়েছে। এর স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। এজন্য ভোলা জেলা সমন্বয় সভার পক্ষ থেকে তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এসময় আবেগ আপ্লুত প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতা করছি। টানা ২৭ বছর ধরে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে “দৈনিক বাংলার কণ্ঠ” পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা করে আসছি। কিন্তু কোন দিন কেউ খোঁজ নেয়নি। জীবনের এই শেষ প্রান্তে এসে বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে এমন বিশাল সম্মান পেয়ে যেন আবার যৌবনের সেই দিনগুলোতে ফিরে গেছি। পিছিয়ে থাকা দ্বীপ মহকুমা ভোলার পথঘাটহীন গ্রামীণ জনপদ আর চর চরাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে হত। তিনদিন চারদিন পর তা ঢাকার পত্রিকায় ছাপা হত। আজ সেই পরিশ্রমেরই যেন মূল্যায়ন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তাই এই গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জানাচ্ছি ধন্যবাদ। পাশাপাশি ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসন এই সংবর্ধনা দেওয়ায় তাদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাবিবুর রহমান। এসময় প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু বলেন, ষাটের দশকের শেষ দিকে তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকার সাথে যুক্ত হন হাবিবুর রহমান। পরবর্তীতে দ্বীপ মহকুমা ভোলার সংবাদদাতা হিসেবে এম হাবিবুর রহমান কাজ শুরু করেন। পূর্বদেশ পত্রিকায় ৭০ সালের সেই ভয়াল ১২ নভেম্বের জলোচ্ছ্বাসের পর “কাঁদো বাঙালি কাঁদো। ভোলার গাছে গাছে ঝুলছে মানুষের লাশ” শিরনামে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনটি হাবিবুর রহমানকে দেশব্যাপী ব্যপক পরিচিতি এনে দেয়। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভোলার ওয়াব দ্যা কলোনি সংলগ্ন বদ্ধভূমির সচিত্র প্রতিবেদনসহ যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশন করে হাবিবুর রহমান দেশ প্রেমিক ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। হাবিবুর রহমান দীর্ঘ চার দশক বাংলাদেশ বেতারের ভোলা সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ বেতারে ১৯৮৭ সালে “সামিয়া লঞ্চ” ডুবির সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক, ভোলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, সহসভাপতি জুন্নুরায়হানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ফেসবুকে লাইক দিন