আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ ইং, ২০শে মুহাররম, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

পঙ্গু স্বামীকে রেখে স্ত্রী চলে গেলেও ২০ বছর ধরে আগলে রেখেছেন মা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মায়ের মতো আপন কেউ নেই! এই কথাটি চিরসত্য। মা তো এমন একজন যিনি নিজের জীবন দিয়ে হলেও সন্তানকে আগলে রাখতে চান। মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না। মা ডাকের মতো মধুর শব্দ আর একটিও নেই।এদিকে একটি দুর্ঘটনা ওলটপালট করে দিয়েছে জিনারুল বিশ্বাসের জীবন। অসুস্থ স্বামীকে রেখে স্ত্রী চলে গেলেও ২০ বছর ধরে ছেলের সেবাযত্ন করছেন বৃদ্ধা জহুরা বেওয়া। সন্তানকে বুকে আগলে রেখে জীবন পার করছেন তিনি।জিনারুল বিশ্বাস (৩৫) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বড়বড়িয়া বেলতলার গ্রামের বাসিন্দা। ছোট বেলা থেকে বাসের হেলপারি করতেন। ২০০১ সালে বিয়েও করেন জিনারুল। পরের বছর একটি দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় জিনারুলকে। এতে শরীরের নিচের অংশে পচন ধরে। কর্মহীন স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। সে যে গেলেন আজ অবধি স্বামীর কোনো খোঁজই নেননি তিনি।স্থানীয়রা জানান, অল্প বয়সে জিনারুল তার বাবাকে হারিয়েছেন। এরপর বাসের হেলপারি করতে গিয়ে চারঘাটের আটঘরিয়ায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে দুই পা হারান তিনি। বাঁচার সম্ভাবনা না থাকলেও মায়ের সেবা-যত্নে কিছুটা সেরে উঠেন। স্ত্রী চলে যাবার পর ভাইরাও তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। অসহায় জিনারুলের সব দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের কাঁধে।সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির পাশে খোলা স্থানে তাকে রাখা হয়। রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট করায় ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জজ মিয়া ও তার সহোদর কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরিজীবী আব্দুল হাকিম বাঁশ-টিনের একটি চালা তুলে দেন। মানুষের দান করা কম্বল ও পুরনো কাপড়ে ঢাকা জিনারুলের আবাস। রাতের অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে ছেলের মুখে খাবার তুলে দেন। অন্যের বাসায় কাজ করে কিংবা মানুষের কাছে চেয়ে নিজের ও পঙ্গু ছেলের খাবার জোগাড় করেন বৃদ্ধা জহুরা।

ফেসবুকে লাইক দিন