দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন
ভোলার খবর ডেস্ক:
বিশ্বের ৭৭টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রম। ব্রিটিশ গবেষণা বলছে, করোনার অন্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বেশি। এদিকে, ভারতে এপর্যন্ত ১শ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই ধরন। ওমিক্রণ মোকাবিলায় ইউরোপ ও আফ্রিকার ৬৭টি দেশের নাগরিকদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে নেপালে শনাক্তের এক মাস না পেরুতেই বিশ্বজুড়ে নতুন দুশ্চিতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সাউথ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্কে। এই অবস্থায় যুক্তরাজ্য ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে টিকার বুষ্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি ৫ গুণেরও বেশি। এছাড়া গবেষকরা বলছেন ওমিক্রনে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি যাতে এটিকে ডেল্টার চেয়ে কম ভয়াবহ মনে করা যাবে।২৯ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে পিসিআর ল্যাবে করোনা আক্রান্তদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণাটি চালানো হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এ তথ্যের ফলে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।এদিকে টিকার বুস্টার ডোজ ওমিক্রন মোকাবিলায় অন্তত ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়ার দাবি করছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। এর ফলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কম রোগী ভর্তি হওয়ার আশা করছেন তারা। তবে নতুন এই ধরন কতটা গুরুতর তা জানতে গবেষকরা এখনও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন।এছাড়াও ফ্রান্সে আগামী বছরের মধ্যে খুব দ্রুত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবারেই যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দেশটির উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফ্রান্স।ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের বেশকিছু দেশে এরইমধ্যে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করছে ধনী দেশগুলোর জোট জি-সেভেনের নেতারা।