আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শুক্রবার, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জুন, ২০২৫ ইং, ২২শে জিলহজ্জ, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

বোরহানউদ্দিনে রাজমিস্ত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

ইকবাল হোসেন, বোরহানউদ্দিন: ভোলার বোরহানউদ্দিনে রাজমিস্ত্রীকে অপহরণ করে দফায় দফায় মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা। অপহরণের পর ৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে প্রতারক চক্রের মুল হোতার সাথে আপস করে উদ্ধার করে পরিবার। অপহৃত রাজমিস্ত্রীর নাম লোকমান চৌকিদার (৩২)। তার বাসা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে। অপহৃত পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মে মঙ্গলবার ভোলা কোর্টের সামনের এলাকা থেকে তাকে ২ জন অপহরণ করে মোটরসাইকেল যোগে তুলাতলি নামক পর্যটন এলাকায় নিয়ে যায়।
অপহৃত লোকমানের স্ত্রী আরজু বেগম বলেন, আমার স্বামী মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিয়ে বের হলে ২ জন লোক অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার সাথে রুহুল আমিন ও লিটন হাওলাদার ছিল। এর সাথে জড়িত রুহুল আমিন আমাদের পার্শ্ববর্তী রুবেল নামে একজনকে ফোন দিয়ে জানালে রুবেল আমাকে জানায়। পরে আমি ৯৯৯ এ ফোন করি আমার স্বামীকে উদ্ধারের জন্য। ৯৯৯ থেকে বোরহানউদ্দিন থানায় নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে। পরে বোরহানউদ্দিন থানায় যোগাযোগ করলে ভোলা সদর মডেল থানায় অভিযোগ করতে বলে। এর মধ্যে আমার স্বামীর সাথে হাজিরা দিতে যাওয়া লিটন আমাকে একাধিক বার ফোন দিয়ে বলে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য। পরে আমি দিশেহারা হয়ে রাজি হই টাকা দেওয়ার জন্য। লিটন নিজে জিম্মি হয়ে আমার স্বামীকে নিয়ে আসে এবং টাকার জন্য চাপ দেয় । তার চাপে আমি সুদের উপর ১ লক্ষ টাকা কর্য করে ২৮ মে বুধবার রাতে দিতে গেলে বাড়ির লোকজন তাকে জেরা করে। লিটনের সাথে যদি অপহরণ কারিদের সক্ষ্য না থাকে তাহলে তাকে বিশ্বাস করে তার হাতে আমার স্বামীকে ছেড়ে দিল কেন। পরে লোকজন তাকে চাপ দেয় যদি টাকা নিতে হয় তাহলে তারা এসে নিবে। এমন চাপে লিটন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাবে তার ক্ষতি করবে। বর্তমানে আমার স্বামী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনার পর বোরহানউদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে অপহৃত লোকমান জানান, গত ২৭ মে লিটন ও রুহুল আমিন সহ আমরা ৩ জন একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হই লিটন আমাদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। রুহুল আলামিন আমার সাথে ছিল একত্রে চা খেয়েছি। হঠাৎ দুইজন লোক এসে একজন সামনে অন্যজন পিছনে দাঁড়িয়েছে। রুহুল আমিন লোকটাকে আমাকে ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিলে লোক দুইজন বলে তোমার সাথে কথা আছে পাশে চলো। পরে আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়, আমাকে অনেক হুমকি দেয়, আমাকে বলে তুমি জিনের ব্যবসা করো তোমার কাছে অনেক টাকা আছে। তুমি ৫০ লক্ষ টাকার মালিক আমাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তারপরে বলে তোমার কে আছে ফোন দাও তখন আমার ফোনটা তার আগে নিয়ে গেছিল। তারা ফোন দিলে আমি লিটনের কাছে ফোন দেই যেহেতু লিটন ভোলা। লিটনকে যেতে বললে লিটন সেখানে যায়, লিটন তাদের সাথে অনেক কথাবার্তা বলে এবং তাদের সাথে ১ লক্ষ টাকা চুক্তি করে। ওখান থেকে নিয়ে আসে তারপর বাড়িতে আসার পরে আমার কাছ থেকে টাকা চাইতে থাকে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। লিটন এবং তার ভাতিজা জুয়েলের কাজই হচ্ছে মানুষকে সিস্টেমে এরকম বিপদে ফেলে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা।
এ বিষয়ে লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা তিনজন হাজিরা দেয়ার জন্য কোর্টে গিয়েছি। লোকমানকে আইনের লোক পরিচয়ে নিয়ে গেছে আমি ফোন পাইয়া সেখানে যাই তাকে উদ্ধারের জন্য। এমনকি তাকে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে আসি টাকা পয়সার বিষয় আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবো

ফেসবুকে লাইক দিন