ভোলায় রাতের আধারে খালেদা জিয়া,তারেক রহমানের ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ

এইচ এম সাইফুল ইসলাম আকাশ: ভোলার বোরহানউদ্দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম এর ছবিসহ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল।
জানা গেছে,সহকারী এটর্নী জেনারেল এবি এম ইব্রাহিম খলিল ঢাকার মোহাম্মদপুর সদরঘাট কেরানীগঞ্জ, সুপ্রিম কোর্ট জজকোর্ট সহ ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার মোড়ে মোড়ে টানিয়ে দেন। কিন্তু ভোলার বোরহানউদ্দিনে গত দুই দিন যাবৎ রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতিকারীরা ব্যানারগুলো ছিড়ে ফেলছেন মর্মে জানা যায়।
স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ জানান,গতকাল রাতে বোরহান উদ্দিন উপজেলা থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ৪ জন যুবক এসে পলিটেকনিক থেকে কুঞ্জেরহাট বাজার পর্যন্ত হাইওয়ে রোডের ব্যানার ছিরে চলে যায়, যার ছেড়া চিহ্ন দেখা যায় এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন বাজারের ব্যানার জোর জুলুম করে দুষ্কৃতীকারীরা নামিয়ে ফেলে।
স্থানীয় বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা জানান, যেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থানীয় সাবেক সংসদ হাফিজ ইব্রাহিম এর ছবি থাকার পরও ব্যানার ছিড়ে ফেলা, ফেস্টুন ভাঙচুর দু:খজনক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দেউলিয়াত্ব প্রমান করে।
এই বিষয়ে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এড. এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে নির্যাতিত র্যাব আমাকে ২০২১ সালে গুম করে আইনজীবীদের প্রতিবাদে মুক্ত হই, আমার সকল কর্মকাণ্ড ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবগত রয়েছে। আমি ১৭ বছর দুঃসময়ে বোরহানউদ্দিনে বিএনপি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর পক্ষে প্রচারণা করি পোস্টার ব্যানার লাগাই তখন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাষনামলে কেউ কিছু না বললেও বিগত ৫ তারিখের পর স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে একটা গ্রুপ প্রতিপক্ষ বানানোর ফলে এইরকম ঘটনার সুত্রপাত।
আসলে একজন আইনজীবীর প্রচারণাও তার পেশাগত সমৃদ্ধি রাজনীতি করতে হবে বিষয়টি এরকম না তবে আমাকে অকারণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বানানো হচ্ছে আমি স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
জানা যায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাষনামলে এড. এবি এম ইব্রাহিম খলিল ঢাকা রমনা থানা ছাত্রদলের সহ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পরবর্তীতে শাহবাগ থানা যুবদল আইন সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে একাধিকবার আহত রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন আইনজীবী হওয়ার পর আদালতে দু:শাসন এর বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন দায়িত্ব ছিলেন দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আইন সেলে
দু:সময়ে বিনা ফিতে সহায়তা দিতেন বিএনপির নেতাকর্মীদের বোরহানউদ্দিনের যে কেউ আইনী সেবা নিতে গেলে সব সময় ছিলেন নেতা কর্মিদের পাশে।