আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ মঙ্গলবার, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং, ১১ই রবিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভোলায় সালিশে অপমান সইতে না পেরে রিকশা চালকের আত্মহত্যা!!

নিউজ ডেস্ক: ভোলায় স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে সালিশে বেঁধে রাখার অপমান সইতে না পেরে মো. নিজাম উদ্দিন (৪২) নামে এক অটোরিকশাচালক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে তাঁর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার ৯ এপ্রিল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিজাম সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের মৃত মোশারেফ সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. নিরব বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
নিজামের ভাই জানান, নিজাম ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর স্ত্রী জান্নাত বেগম স্থানীয় (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটনের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. ইউছুফকে দিয়ে কালাম মেম্বারের পোল সংলগ্ন চেয়ারম্যানের অফিসে ডেকে নেয়। পরে চেয়ারম্যান মিজানের স্ত্রী-সন্তান ও শতশত মানুষের উপস্থিতিতে গ্রাম পুলিশকে হুকুম করে নিজামকে বেঁধে রাখতে। কিন্তু গ্রাম পুলিশ তাকে বেঁধে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্থানীয় ইয়াছিন আরাফাত নামে এক যুবক তাকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অপমান সইতে না পেরে সন্ধ্যায় নিজ ঘরে বিষপান করে নিজাম। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ সালিশি বৈঠকে নিজামকে বেঁধে রাখায় অপমান ও অপদস্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে সে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। তাঁরা এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিজামের পরিবার আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান। ঘটনাটি নিয়ে ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মাঝে বেশ ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিহত নিজামের মা রানু বেগম বলেন, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে শুধু ঝগড়ার কারণে চেয়ারম্যান আমার পোলাডারে মানুষের সামনে অপমান করছে, হের লইগ্যা আমার পোলায় বিষ খাইছে। আমার পোলায় কেন বিষ খাইয়্যা মারা গেছে তার বিচার চাই। চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিজামকে ডেকে এনে শাসানো হয়েছে যাহাতে দু’জনে মিলেমিশে থাকতে পারে। নিজাম উদ্দিন কেন বিষপান করেছে তা আমার অজানা। এই ঘটনাকে নিয়ে আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে সেখানে কাউকে নির্দিষ্ট করে অভিযুক্ত করা হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন