আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ মঙ্গলবার, ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং, ১৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলী কিশোরীদের দাবি, বৈষম্য দূর করতে হলে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন করতে হবে ॥

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: বুধবার (২৭ নভেম্বর ২০২৪) তজুমদ্দিন হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের সামনে কোস্ট ফাউন্ডেশন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সক্ষমতা প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর কিশোরী শিক্ষা কেন্দ্রের আয়োজনে কিশোরী দলের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ছাত্র-ছাত্রী, যুব প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে তজুমদ্দিনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিসিআর প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার, রাজিব ঘোষের পরিচালনায় মানববন্ধনে সভাপত্বি করেন উপজেলা বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, মোঃ শামীম হাওলাদার। মানববন্ধনে কিশোরী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক, রিয়া আক্তার, পিয়ার লিডার-রিক্তা, কলেজ ছাত্রী-সানজিদা আক্তার সোহানা, পূর্ণিমা রানী দাস ও জাফরিন আক্তার, হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের প্রভাষক-বিক্রম চন্দ্র দাস ও সহকারী অধ্যক্ষ-মোঃ সুমন বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, নারী ও কিশোরীদের প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূর করতে, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলী নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু সক্ষমতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগ, জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতাই এবং কার্যকর উদ্যোগ বৃদ্ধি, জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সরকারকে নারী শিক্ষায় বরাদ্দ, দরিদ্র পরিবারের নারী ও কিশোরীদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা, জলবায়ু অর্থায়নের ন্যায্যতা নিশ্চিতের মাধ্যমে জেন্ডার ন্যায্যতা নিশ্চিত, সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের নারীর প্রতিসহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রভাষক বিক্রম চন্দ্র দাস বলেন, জলবায়ু ন্যায্যতা ছাড়া স্থায়ী দারিদ্র বিবোচন সম্ভব নয়, আর দারিদ্রতা দূর করতে না পরলে নারী ও কিশোরীদের প্রতিসহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তাই উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও কিশোরীদের জন্য পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে হবে, তাদের বিভিন্ন আয়বর্ধণমূলক কর্মসূচীতে অন্তভূক্ত করতে হবে।
সহকারী অধ্যক্ষ, মোঃ সুমন বলেন, নারীর প্রতিসহিংসতা, বাল্যবিবাহ বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ যেমন জুরুরি, এ জন্য সরকার ও জনপ্রতিনিধিদে অবশ্যই সচেতন হবে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করাতে হবে। তবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে অবশ্যই নারী শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করে, তাদের স্বাবলম্বি করতে হবে।
মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বহুমুখী আয়ের সন্ধান খুবই প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ এবং বিকল্প আয়ের সুযোগ সীমিত, জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই সুবিধাবঞ্চিত, খাদ্য সংকটসহ জীবনমান অতি দরিদ্রতাপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র পরিবারগুলো নেতিবাচক কৌশল অনুসরণ করছে, যেমন- সামান্য অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের জন্য বাল্যবিয়ে দিয়ে তাদের মেয়েদের স্কুল থেকে সরিয়ে নিচ্ছে, এছাড়াও যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তাই আজকের মানববন্ধন হতে উত্থাপিত দাবীসমূহ সরকার ও জনপ্রনিধিদেও বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
রাজিব ঘোষ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বহুমুখী আয়ের সন্ধান খুবই প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ এবং বিকল্প আয়ের সুযোগ সীমিত, জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই সুবিধাবঞ্চিত, আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের প্রধান শিকার হচ্ছে নারী ও কিশোরীরা, অর্থনৈতিক অক্ষমতা তাদেরকে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই এসকল সমস্যা সমাধানে সরকারকে অবশ্যই জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও কিশোরীর জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন