আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
  • শনিবার, ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ ইং, ২রা জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভোলার আলোকবর্তিকা : মানবিক জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান

মোঃ মহিউদ্দিন: ভোলার মানুষ আজ এক নামেই আস্থা খুঁজে পায়— মো. আজাদ জাহান। যিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, বরং মানবতার মশালবাহী এক প্রেরণার প্রতীক। তাঁর অফিসের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য সর্বদা খোলা, তাঁর হৃদয় যেন এক অনন্ত আশ্রয়—যেখানে অভাবী, অসহায়, পঙ্গু, কিংবা জটিল রোগে আক্রান্ত কোনো মানুষ সাহায্যের আশায় গেলে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় না।
মানবতার মূর্ত প্রতীক—
তিনি যখন ভোলায় জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই প্রশাসনিক দায়িত্বের সঙ্গে যুক্ত করেন মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সরকারি পদে থেকেও মানুষের সেবাই যেন তাঁর ধর্ম। তাঁর কাজের পরিধি শুধু নীতিমালার ভেতরে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তিনি প্রতিদিন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করেন নীরবে, নিষ্ঠাভরে।
একজন বৃদ্ধা যখন ওষুধের অভাবে কাঁদছেন, কোনো ছাত্র বই বা টিফিনের টাকা না পেয়ে পড়ালেখা ছেড়ে দিতে চাইছে, কিংবা কোনো পঙ্গু মানুষ হুইলচেয়ারের আশায় প্রার্থনা করছে—তখনই হাজির হন এই মানবিক প্রশাসক।
তিনি শুধু অর্থ সাহায্যই দেন না, দেন আশা, সাহস আর জীবনের প্রতি নতুন আস্থা।
প্রশাসনিক সাফল্যের এক উজ্জ্বল অধ্যায়—
ভোলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান প্রশাসনের প্রতিটি শাখায় এনেছেন কর্মনিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার আলোক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা—সবখানেই তাঁর দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্বের ছাপ স্পষ্ট। তিনি মাঠপর্যায়ে ঘুরে দেখেন গ্রামের প্রকৃত চিত্র, মানুষের কষ্ট ও প্রত্যাশা। ফলে তাঁর সিদ্ধান্ত সবসময় বাস্তবমুখী ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত।
ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যখন বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, তখন দেখা যায় তিনি নিজেই ত্রাণ বিতরণের সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন—জনগণের পাশে, মানুষের পাশে। তিনি বিশ্বাস করেন, “প্রশাসক মানে শুধু আদেশ নয়, বরং সেবা।”
মানুষের জেলা প্রশাসক—
যে মানুষ নিজের পদকে ক্ষমতার প্রতীক নয়, বরং সেবার দায়িত্ব মনে করেন—তিনিই প্রকৃত প্রশাসক। মো. আজাদ জাহান সেই বিরল মানবগুণের অধিকারী। তাঁর অফিসে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফেরেনি; হয় সাহায্য, নয়তো সান্ত্বনা—কিন্তু সবসময়ই মেলে এক টুকরো মানবিকতা। তাঁর এমন দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য ভোলার মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ডাকে “মানবিক ডিসি সাহেব।”
আশীর্বাদ হোক তাঁর সহযাত্রা—
তিনি কেবল একজন সরকারি কর্মকর্তা নন; তিনি এক মানবিক আন্দোলনের দৃষ্টান্ত। তাঁর কাজ যেন এক প্রেরণার মশাল, যা অন্য কর্মকর্তাদের হৃদয়েও মানবসেবার আগুন জ্বেলে দেয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা প্রার্থনা করি—তাঁর কর্মজীবন হোক আরও সমৃদ্ধ, তাঁর কল্যাণময় উদ্যোগে ভোলা হোক আরও আলোকিত। ভোলার আকাশে তিনি যেন এমন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যার আলো নিভে যায় না—যিনি মানুষের হৃদয়ে জ্বালিয়ে রেখেছেন বিশ্বাসের প্রদীপ।
লেখক: কবি, সাহিত্যিক, সিনিয়র লেকচারার

ফেসবুকে লাইক দিন