মাদক নির্মূলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ভোলার খবর ডেস্ক:মাদকে না বলুন। মাদক-এক অভিশাপের নাম, এক সর্বনাশা ছোবলের নাম। এটি এমন এক সামাজিক সমস্যা যা শুধু অপরাধের জন্ম দেয় এবং বিকাশ সাধন করে তাই নয়, এর বিষবাষ্প ছড়িয়ে যায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। বিশ্ব ব্যাপী প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ অবৈধ মাদক গ্রহণের সাথে জড়িত যার অধিকাংশই তরুণ। আর এই মরণ নেশার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সামাজিক কাঠামোয়, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে, ভারসাম্যে, আইন শৃঙ্খলা বিরিস্থিতিতে এক কথায় জীবনের সর্বত্র। বাংলাদেশও এই বৈশ্বিক সমস্যার বাইরে নয়। বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন হয় না ঠিকই, তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এদেশ মাদক দ্রব্য অপব্যবহারের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। দ্রত নগরায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার আর জনসচেতনতার অভাবে মাদক সমস্যা দিন দিন মহামারী আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্যের অপব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বৃর্তমানে মাদকাসক্ত আমাদের সমাজে এক সর্বনাশা ব্যধি হিসাবে দেখা দিয়েছে। সারা দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭৩ লক্ষ। প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এদেশটিতে ৭৩ লক্ষ মাদকাসক্ত, দিন দিন তা বেড়ে চলেছে। এর বিপরীতে নিয়ন্ত্রণের চিত্রটা কেমন? গত ২৮ বছরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদক ব্যবসায়ী ধরেছে ৩ লাখের কিছু বেশি। আইন শৃংখলা বাহিনী কোটি কোটি ইয়াবা জব্দ করে চলেছে প্রতিনিয়ত। তথ্যচিত্রটি দেখলেই স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় দেশ আজ মাদক দ্রব্যের ভয়াবহতার মধ্যে রয়েছে। ফলে দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ-যুব সমাজ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমনকি সর্বনাশা মাদকের কারণে অকালেই ঝরে পড়েছে অনেক তাজা প্রাণ। তরুণ সমাজ যে কোন দেশের ভবিষ্যৎ। অনেক সময় তরুণ সমাজকে দেশের মেরুদন্ডও বলা হয়ে থাকে। মাদকের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের অপার সম্ভাবনাময় তরুণ ও যুব সমাজ। মাদকের ভয়াবহতা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে শহরতলিতে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিরাপত্তা, ব্যহত হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। মাদকের এই আগ্রাসী তৎপরতায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন, অভিবাবকেরা আতংকিত এবং চিকিৎসকেরা দিশেহারা।
মাদক সেবনের ফলে ধর্মীয় অনুশাসনের ব্যত্যয় ঘটে, আল্লাহতা’আলা ও তাঁর রাসুলের বিধান লঙ্ক্ষিত হয়, সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে শান্তি প্রাপ্তির ঝুঁকি তৈরী হয়, মাদক সেবন হলো একটি ঈমান বিধ্বংসী পাপ রাসুল (সাঃ) বলেছেন। মাদক সেবন ও ঈমান এক সংঙ্গে থাকতে পারেনা।
মাদকাসক্তি মানবদেহে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মাদকাসক্তির কারণে হজম শক্তি হ্রাসপায়, ক্ষুধামন্দা, পাকস্থলিতে ঘা স্নায়ুবিক দুর্বলতা, হৃদপেশির দুর্বলতা, শিরা ও ধমনির শক্তি ক্ষয়ে যাওয়া এবং বাধ্যক্য আনয়ণ ইত্যাদি।
মাদক সেবনের ফলে দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়। গলদেশ ও শাসনালীর মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। যক্ষা রোগের ঝুঁকি থাকে খুব বেশী।
মাদক সেবনের ফলে রক্তশূণ্যতা, পুষ্টিহীনতা, মুনমুদে পানি জমা, নিউধুনিয়া, হৃদরোগ, গেট্রক, আলসার পরিপাকঘর থেকে রওউড়া, লিভারে প্রদাহ, জয়িদ, নিভার ও কিডনী ইনফেক্সন, ক্যামর, টিটেওন, মুষিতোও, আপপেশিতে অসুখ, খড়দ্ধ বিকল, দৃষ্টিহীনতা ধৌনরোগ, এইমন, ঐলেদের মাংসের অি বিকলাঙ্গ সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা, চর্মরোগ, শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস, শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি ও অকাল মৃত্যু ইত্যাদি।
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহনের ফলে এইচআইভি এবং এইডস এর ঝুঁকি তৈরী হয়। সাম্প্রতিক তথ্যে বাংলাদেশে সংক্রমনের হার ২২% পাওয়া গেছে ততর। যদিও বাংলাদেশে সাধারণ জনগণের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার শতকরা ০.১ ভাগেরও কম।
মাদকসেবীরা মানসিক ভারসাম্য ও সুস্থ্যতা হারিয়ে ফেলে। ফলে তারা মানুষের সাথে অকারণে ঝগড়া, ফ্যাসাদে লিপ্ত হয় পারস্পরিক শান্তি ভঙ্গ করে। নিজের স্ত্রী সন্তান, বাবা-মা ও পাড়া প্রতিবেশীর উপর অত্যাচার করে। ফলে এটি পরিবারে ও সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
মাদক সেবনের ফলে মাদকসেবীদের হিতাহীত জ্ঞান লোপ পায়। তারা প্রায়ই উশৃংখল ও অসংলগ্ন আচরণ, খিটখিটে মেজাজ, অনিদ্রা স্মৃতিবিভ্রাট, চরিত্রে লাম্পট্য, মধ্যপরতা কর্মদক্ষতার অবনতি, উদাসীনতা, নিষ্ঠুরত। হতাশা, অবশাদ বিষণ্নতা আত্মহত্যার প্রবনতা, গুরুতর মানসিক ব্যধি, ধর্মীয় কাজে বিমুখতা মিথ্যাচারিতা, অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
মাদকসেবীরা পারিবারিক কর্মকান্ড ও দায় দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। পরিবারে নানাবিধ অশান্তি সৃষ্টি, সম্পর্কের অবনতি, দুর্বিসহ দাম্পত্য জীবন, বিবাহ বিচ্ছেদ, পরিবারের মর্যাদাহানিকর কাজ করা, অধিক রেওলিয়া এবং নিত্য ব্যবহাৰ্য্য গৃহস্থালী দ্রব্যাদি বিক্রয় করা। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করেনা। পরিবারকে সেই দায় পরিশোধ করতে হয়।
মাদকসেবীরা নেশার টাকা যোগার করার জন্য নানাবিধ চুরি, ডাকাতি, রাহাজানী, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাস্তানী হত্যা ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক মুল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের সূচনা করে। উৎপাদন কাজে বিমুখতা, বেকার হয়ে পরিবারের বোঝা হিসাবে আবির্ভূত হয়। পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভবঘুরে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়।
চিকিৎসা বিজানীদের মতে, যদি একজন ব্যক্তি ২-৩ আউন্স পরিমাণ মদ পান করেন তা হলে তার স্বাভাবিক চিন্তা শক্তি বিবেচনাবোধ লোপ পায়। সাময়িক ভাবে মস্তিস্ক তার কার্যক্ষমতা হারায়। ফলে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা সাময়িক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় স্বাচ্ছন্দে নিজেকে চাপমুক্ত অনুভব করলেও তা একেবারেই ক্ষনস্থায়ী। রক্তে ৩০% ভাগ এলকোহল থাকলে, এলকোহল সেবনকারীর মানসিক বিভ্রাট ঘটে থাকে। ফলে সে ক্রমান্বয়ে চেতনাবোধ হারিয়ে ফেলে। এলকোহলে মাত্রা ৪৫% ভাগ হলে মস্তিস্ক ও হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে, যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের ফলে স্নায়ুতন্ত্র এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার কারণে বুদ্ধি ও বিবেচনাশক্তি একেবারেই লোপ পেতে থাকে। ফলে মুখের ভিতরে, গলা ও স্বরযন্ত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
সর্বনাশা মাদকের অবাধ বিচরণ ও আবাবহার পুরো জাতিকে উদ্বিগ্ন ও আতংকিত করে তুলেছে। সর্বগ্রাসী মাদকের হাত থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে সরকার, বেসরকারী গুনাক উন্নয়নসংস্থা, সুশীল সমাজসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে সর্বনাশা ও সমাজ বিধ্বংসী মাদকের ছোবল থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে প্রতিরোধ করতে।
পরিবারের যে কোন সদস্যের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হোন। অতিরিক্ত রাতজাগা, খিটখিটেভাব, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, হঠাৎ উত্তেজনা, পড়াশোনা বা পছন্দের কাজে অগ্রহ হারিয়ে ফেলা, একা থাকার প্রবণতা, ওজন কমে যাওয়া এসব দেখলে খুব ভালোভাবে তার উপর লক্ষ্য রাখতে হবে পরিবারকে এবং কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন।
প্রত্যেক পরিবার প্রধানের উচিৎ নিজেদের সন্তানদের চলাফেরা সম্পর্কে ও তাদের বন্ধু-বান্ধব সম্পর্কে খোজ খবর রাখ্যা। কোন ভাবেই যেন তারা অসৎ সঙ্গ ও দুঃশ্চরিত্র সহচার্য তাদের প্রভাবিত করতে না পারে। পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে একটি পারিবারিক আবহ তৈরী করা যেতে পারে।
শিক্ষক হলো সমাজের মানুষ গড়ার কারিগর। তারা জাতি গঠনের মেরুদন্ড। সমাজের সচেতন মানুষ হিসাবে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও মাদকাসক্ত রোধে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষকদের আদর্শ, সৎচিন্তা, মার্জিত আচরণ, বিশ্বাস, নির্দেশ উপদেশ ছাত্রদের মনে দারুণ প্রভাব পড়ে। শিক্ষকগণ তাদের ছাত্রদের আদর্শ শিক্ষা ও সঠিক দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদক দ্রব্যের অগ্রাসী ছোবল ও মাদকাসক্তির হাত থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে পারে।
মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও মাদকাসক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের আইন শৃংখলা রক্ষা, অপরাধপ্রবণতা রোধ, ন্যায়বিচারপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন কার্যকর করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও মাদকের করালগ্রাস থেকে জাতিকে রক্ষা করতে আইন শৃংখলা বাহিনীকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধমে মাদকসেবনের হার নিম্নগামী হতে পারে।
সারাবিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মাদক দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান বিস্তার ও অপব্যবহার রোধে জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও তা রোধ করে এর উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও পাচার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মাদককে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সমাজ কল্যানমূলক কাজে নিয়োজিত সংস্থাসমূহে পৃষ্ঠপোষকতা করা যেতে পারে।
মাদক দ্রব্যের প্রসার রোধকল্পে সমাজ হিতৈষী বা নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সকল ধরণের জন প্রতিনিধিসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে মাদকের বিস্তার রোধ মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে।
আমাদের দেশের মানুষদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের প্রতি রয়েছে বিশেষ সম্মানবোধ। ইমামগণ নামাজের আগে বিশেষ করে জুমআর খুৎবার আগে মাদক দ্রব্যের ক্ষতিকর দিকসম্পর্কে আলোচনা করলে মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরী করে।
মাদকদ্রব্য নিরোধের লক্ষ্যে কিছু স্থানীয় ক্লাব, সিবিও (কমিউিনিটি বেসড অর্গানাইজেশন) সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহকে মাদক বিরোধী কাজে সংযুক্ত করা যেতে পারে।
মাদক সমাজের এক ভয়াবহ অভিশাপ। এটি সমাজের এমন একটি দুষ্টক্ষত যা সমাজের সর্বদেহে নানামুখী সমস্যার জন্ম দেয়। মাদক কেবল একটি মাত্র সমস্যা নয়, আর এর কারণ ও প্রভাবও কেবল একটি করে নয়। গাছের শেকড়ের মত এর মূল ছড়িয়ে আছে সমাজের গভীর থেকে গভীরে, যা উপড়ে ফেলা সহজ নয়। মাদকের কুফলও গাছের ডালপালার মত বহুদূর বিস্তৃত যা থেকে মুক্তি পাওয়াও কঠিন। সুশিক্ষা, সচেতনতার পাশাপাশি প্রতিটি স্তরের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই পারে মাদক নামের এই প্রাণঘাতী ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের পথ দেখাতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশে চারটি স্তম্ভের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্তম্ভ হলো স্মোর্ট নাগরিক এবং স্মার্ট সোসাইটি এক্ষেত্রে নাগরিক ও তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দুরে সরাতে না পারলে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি সম্ভব নয় তেমনি স্মার্ট সোসাইটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তা করতে না পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন হয়তো স্বপ্নই থেকে যাবে।
মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য সরকার এর মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পরামর্শ কেন্দ্রগুলো থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে এবং বিভিন্ন সরকারি অনুদানও প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে ২৫০ শয্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার বাইরে ৭টি (সাত) বিভাগে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্র গঠন করার পরিকল্পনা ও সরকার হাতে নিয়েছেন।
মাদকাসক্তি শুধু পারিবারিক সমস্যা নয় এটি এখন সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা। এটা এখন ক্যান্সারের মতো সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আর এর কড়াল গ্রাস থেকে বের হতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। (শিক্ষক, লেখক ও সাংবাদিক, ইমেইল-sun.bhola.bd@gmail.com)