বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
আরিফ পণ্ডিত, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ততা বেড়েছে। অল্প দামে পছন্দের পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল, অন্য প্রসাধনীসহ পছন্দের পণ্য কিনতে তাঁরা ভিড় করছেন ফুটপাত ও খোলা জায়গায় বসানো দোকানগুলোতে।
রবিবার দুপুরের পর বোরহানউদ্দিন বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, মূলত নিম্ন আয়ের লোকজনকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে প্রচুর দোকান । স্বল্প দামে রাস্তার পাশে বসানো দোকানগুলোতে মানুষের ভিড়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাঁদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তাই ক্রেতাদের কোনো না কোনো জিনিস পছন্দ হচ্ছে আর কিনেও নিচ্ছেন।
সেখানেই একটি কাঠের চৌকিতে ছোটদের পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, টি-শার্ট বিক্রি করছিলেন মো. কুদ্দুস । বিক্রি ভালো হচ্ছে জানিয়ে বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকার বোরহানউদ্দিন ব্যুরো চীফ আরিফ পণ্ডিতকে বলেন, ঈদে উপলক্ষ্যে প্রতিদিন ৮/১০ হাজার টাকার বিক্রি হয়। নিম্ন আয়ের মানুষেরা কম দামে বিভিন্ন রঙের পোশাক কিনতে পারছে।’
এলাকার বাসিন্দা লিপি বেগম। তিনি কেনাকাটা করছিলেন ওই জায়গাতেই। তিনি বলেন, আজকে কেনাকাটায় বের হয়েছি। ছেলের জন্য দুটি করে শার্ট, প্যান্ট ও ৬টি গেঞ্জি নিয়েছি।’ অন্য কেনাকাটা মসজিদ মার্কেট থেকে হয়েছে বলে জানান তিনি।
ছেলে রায়হানকে নিয়ে কেনাকাটা করছিলেন বাশার উদ্দিন। বাড়ি পক্ষিয়া ইউনিয়নে। কী কিনছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছেলের জন্য একটা পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট ও বেল্ট কিনলাম। মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য কানের দুল ও চুড়ি কিনেছি।’ এই টুকিটাকি জিনিস কেনাকাটা করছি।
এক ব্যবসায়ী বলেন, ফুটপাতে ঈদের এক-দুই দিন আগেই সবচেয়ে বেশি বেচাবিক্রি হয়। তখন লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শেষ সময়ে বিক্রেতারাও সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে দেন।
ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালো জানিয়ে অনেক ব্যবসায়ী বলেন, কম দামে আমাদের কাছ থেকে ক্রেতারা কিনতে পারে, তাই বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। আজ হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কিছুটা কমেছে।