আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু

মোঃ হেলাল উদ্দিনঃ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর পৃথিবীর উপনিবেশিক শক্তিগুলো সংকটে পরলে পৃথিবীতে নতুন নতুন জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। এ সকল জাতিরাষ্ট্রের ভিত্তি ছিল জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদের উপাদানগুলি হল ভাষা, ধর্ম, গায়ের রং, ভৌগোলিক ঐক্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিকে একত্রিত করেছিল যা বাঙালি জাতীয়তা বাদের ভিত্তি রচনা করে। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিসংবাদিত নেতা। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ অবদান রয়েছে। আজীবন বাংলা ভাষা প্রেমী এই মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে ১৯৫২ সালের চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ও বাংলা ভাষার উন্নয়নে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। অদ্যাবধি ভাষা-আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও বইপত্র প্রকাশিত হলে ও অনেক তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। এসব দিক বিবেচনা করে আলোচ্য প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আলোচনা করা হল।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর প্রথম বিতর্ক শুরু হয় ভাষা নিয়ে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) শুরু হয় প্রবল গণঅসন্তোষ। শুরু হয় ভাষা ভিত্তিক এক ব্যাপক গণআন্দোলন। এই আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মোলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে গাজীউল হক বলেন, ‘সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন সে দিনের ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। “ভাষা সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করে তিনি বললেন” পূর্ব পাকিস্তান কর্মী সম্মেলন প্রস্তাব করিতেছে যে বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের লিখার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা করা হউক। সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হইবে তা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের ভার জন সাধারনের উপর ছাড়িয়া দেওয়া হউক। এবং জনগনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গৃহীত হউক”। এভাবেই ভাষার দাবি প্রথমে উচ্চারিত হয়েছিল। (সূত্রঃ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা, ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪)
ভাষা আন্দোলনের শুরুতে “তমদ্দুন মজলিসের” রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অংশগ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনী কার অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান এই মজলিসকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত বহুকাজ সাহায্য ও সমর্থন করেন। (সূত্রঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, কৃত-মযহারুল ইসলাম ঢাকা, আগামী প্রকাশনী ১৯৯৩ : পৃ. ১০৪)
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজনীতিবিদসহ ১৪ জন ভাষা বিজ্ঞানী ২১ দফা দাবি সংবলিত ভাষা আন্দোলন সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে একটি ইস্তেহার প্রণয়ন করেছিলেন। এই দাবি গুলির মধ্যে দ্বিতীয় দাবিটি ছিল রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কিত। এই ঐতিহাসিক ইস্তেহারটি একটি ছোট পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল যা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য দলিল। এই ইস্তেহার প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল অনস্বীকার্য এবং তিনি ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষর দাতা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির তিন-চার মাসের মধ্যেই পুস্তিকাটির প্রকাশনা ও প্রচার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসীদের জন্য পাকিস্তান নামের স্বপ্ন সম্পৃক্ত মোহভঙ্গের সূচনার প্রমান বহন করে। পুস্তিকাটি যাদের নামে প্রচারিত হয়েছিল তারা সবাই অতীতে ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত নিবেদিত প্রাণকর্মী।
উল্লেখ্য, এদেরই একজন ছিলেন ফরিদপুরের (বর্তমানে গোপালগঞ্জ) শেখ মুজিবুর রহমান; পরবর্তীকালে যিনি বঙ্গবন্ধু হিসাবে বাংলদেশ সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। (সূত্রঃ রাষ্ট্রভাষা-২১ দফা ইস্তেহার ঐতিহাসিক দলিল, শায়খুল বারী, পুনঃপ্রকাশ জানুয়ারি ২০০২)
২মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ পুর্নগঠিত হয়। ১১ মার্চ ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঐ দিন সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ এ কর্মসূচি পালনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। পিকেটিং করা অবস্থায় শেখ মুজিব, শামসুল হক, অলি আহাদসহ ৬৯ জনকে গ্রেফতার করলে ঢাকায় ১৩-১৫ মার্চ ধর্মঘাট পালিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সাধারন ধর্মঘট ও সফল হরতাল পালিত হয়। এই হরতালে শেখ সাহেব নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেফতার হন। ভাষা সৈনিক অলি আহাদ তাঁর ‘জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৫’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার নিমিত্তে শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ হতে ১০ মার্চ ঢাকায় আসেন। ১১ মার্চের হরতাল কর্মসূচিতে যুবক শেখ মুজিব এতটাই উৎসাহিত হয়েছিলেন যে, হরতাল কর্মসূচি তার জীবনের গতিধারা নতুন ভাবে প্রবাহিত করে।
১১ মার্চের গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের এক টানিং পয়েন্ট। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ঐতিহাসিক ১১ মার্চের গুরুত্ব এবং গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নয়, মূলত শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। (সূত্রঃ দৈনিক আজাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১)
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সস্পাদক শামসুল হক ২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ একটি বিবৃত্তি প্রদান করেন। এই বিবৃত্তি তে তিনি বলেন যে, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাকে পাকিস্তানের একটি অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ভাষা আন্দোলন শুরু করে। এটা পরিচালিত হয়েছিল Central State Language Committee of Action কর্তৃক। আমি নিজেই এটার সদস্য ছিলাম। আমি স্মরণ করতে পারি যে, শেখ মুজিবুর রহমান, নইমুদ্দীন আহমদ, কামরুদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট অলি আহাদ, মোহম্মদ তোয়াহা, প্রফেসর আবুল কাসেম প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ এই কমিটির সদস্য ছিলেন। আমাদের অফিস ছিল ফজলুল হক মুসলিম হল। (Source: Secret Document Of Intelligence Branch on Father Of The Nation Bangladesh Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Vol-2, 1951-1952, P-143)
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন চলাকালে শেখ মুজিবুর রহমান জেলে বন্দী ছিলেন। জেলে অন্তরীণ থেকে ও তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। (সূত্রঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী: পৃষ্ঠা-১৬৮)
রাজবন্দী হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে মোহাম্মদ তোয়াহা ও অলি আহাদ বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে আসেন। বঙ্গবন্ধুর এ সময় খালেক নেওয়াজ, গোলাম মাহবুব আর ও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে খবর দিতে বলেন। বারান্দায় বসে আলাপকালে তিনি বলেন,“সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদগঠন করতে। (উৎসঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-১৯৬)
আবার ষড়যন্ত্র চলছে বাংলা ভাষার দাবিকে নস্যাৎ করার। এখন প্রতিবাদ না করলে কেন্দীয় আইন সভায় বাংলার পরিবর্তে উর্দুর পক্ষে প্রস্তাব পাস করে দেবে। তিনি ও সহবন্দী ছাত্রনেতা মহীউদ্দীন আহমেদ আমরণ অনশন শুরু করেন যা ভাষা আন্দোলনকে প্রবাহিত করে। প্রায় ২৭ মাস পর ২৭ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করেন। (উৎসঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-১৯৭)
২৪ ফেব্রুয়ারীর পর ভাষা আন্দোলন ঢাকায় স্তিমিত হয়ে পড়লে ও জেলায়, মহকুমায় ও গ্রামঞ্চলে তা ছড়িয়ে পড়ে, এ সঙ্কট কালে ভাষা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ মুজিবের উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পূণগর্ঠন করা হয়। ১৯৫২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে ভাষা আন্দোলন কারী ৫০০ ভাষা সৈনিকের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেন। (উৎসঃ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, স্বাধীন বাংলা দেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, পৃষ্ঠা- ১৩৬, ১৩৭)
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু বাংলা ভাষার উন্নয়নে এবং সর্ব স্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য কাজ করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতি সংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন যা বাংলা ভাষাকে আন্তজার্তিক অঙ্গনে পরিচিতি আরো ও বাড়িয়ে দেয়।
১৯৭১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা একাডেমিতে একটি সভায় বলেন। “ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আমি ঘোষনা করছি। আমার দল ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই সকল সরকারি অফিস আদালতে ও জাতীয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলা চালু হবে।” (সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১)
১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদের জন্ম হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। আর এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে আমাদের প্রিয় স্বধীনতা। এই মহান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল অপরিসীম। শুধু তাই নয় এই মহান নেতার চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীর মানচিত্র একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি।
(মোঃ হেলাল উদ্দিন- শিক্ষক, লেখক ও গবেষক। ই-মেইলঃ helaluddin565@gmail.com)

ফেসবুকে লাইক দিন