আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ বুধবার, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং, ৭ই জমাদিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস!!

বিপ্লব মন্ডলঃ আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর সময়কালের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদর বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার,আলবদর,আলশামস এ হত্যাকান্ড পরিচালনা করে। অসংখ্য শিক্ষাবিদ,গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশের বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়। ঢাকার মিরপুর,রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণ কবরে বুদ্ধিজীবীদের মৃত দেহ পাওয়া যায়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভুমিতে স্বজনদের মৃত দেহ সনাক্ত করেন। অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, হাত-পা বাধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা যায়। অনেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুর্তা, মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লাহ্ কায়সার, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন প্রমূখ। ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক সংবাদ সাময়িকী ” নিউজ উইক” এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের রচিত নিবন্ধ থেকে জানা যায় নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ১ হাজার ৭০ জন।
১৯৭১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ” দৈনিক আজাদ” পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনাটি পূর্বেই করা হয়েছিল। আর এতে সহায়তা করে জামায়েত ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ” ছাত্র সংঘ”। এ হত্যাকান্ডে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন, ব্রি. জে. আসলাম,ক্যাপ্টেন তারেক,কর্নেল তাজ,উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন,ড. মোহর আলী, আলবদরের এবিএম খালেক মজুমদার,
আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দিন। আর তাদের নেতৃত্ব দেন রাও ফরমান আলী।
১৯৯৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনায় রমনা থানায় প্রথম মামলা করা হয়। মামলায় আলবদর বাহিনীর চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামানকে আসামী করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিনের বোন ফরিদা বানু।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ১৪ ডিসেম্বরকে ” শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” হিসাবে ঘোষণা করেন।
আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি বাঙালির সূর্যসন্তানদের।

ফেসবুকে লাইক দিন