আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ রবিবার, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং, ৯ই রবিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলারসহ ২০ জেলের নিখোঁজ

মনপুরা প্রতিনিধি ভোলা: বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে গিয়ে ১১দিন ধরে এফবি রিনা-১ নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারসহ ২০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এফবি এফবি রিনা-১ ট্রলার মালিক মো আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ১১ দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন। অনেকে মনে করছেন ঘূর্নিঝড়ের কবলে বঙ্গোপসাগরের তলিয়ে গেছে ট্রলারটি।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, এফবি রিনা-১ ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর (৪০), তিন সহোদর শেখ ফরিদ (৫৫), সিদ্দিক (৪৫) ও শামীম (২৩) জেলে আলাউদ্দিন (৫৬), আবুল খায়ের (৬৫), বাতেন (৪০), ইয়াসিন (৩৫), জয়নাল আবেদীন (৭০), মিলন (৩৫), ইসলাম আলী (৫৫), ফিরোজ (৪৫), সোহাগ (৪৫), অলিউদ্দিন (৪১), সোহাগ আখন (৩৬), সুমন (৩০), আবুল কালাম (৬৪), আজাদ (৩৫), ইয়াকুব আলী (৬০), নুর সর্দার (৫৫)। সবার বাড়ি মনপুরা উপজেলার দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ অক্টোরব সাগরে রাতের আধারে অন্যান্য মাছ শিকারের ট্রালার গুলোর সাথে মনপুরা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার লঞ্চঘাট হতে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আমির হোসেন এর ছেলে মোঃ আক্তার হোসেন মাঝী মালিকানাধীন
ইঞ্জিন চালিত এফবি রিনা-১ ট্রলারটি মোট ২০ জন জেলে মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
এরপর (২৫ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে অন্য মাছ শিকার এর ট্রলার গুলো উপকূলে আসলেও এই ট্রলাটি উপকূলে আসেনি। ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ঔ ট্রলার এর সাথে কোন যোগাযোগ বা খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এফবি রিনা-১ ট্রলার মাঝি জাহাঙ্গীর এর সাথে অন্যান্য মাঝির সাথে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। এ সময় জানায় যে তারা ড্রাম বয়ার কাছে মাছ শিকার করছে। পরদিন ঘূর্ণিঝড় হামুর প্রভাব শুরু হলে তাদের সাথে মোবাইল ফোনে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এদিকে নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধানে করেন ট্রলার মালিক আক্তার হোসেন এর ভাই আবুল ও মনির এর দু’টি মাছধরা ট্রলার সমুদ্র চষে বেড়াচ্ছে। দশদিন অনুসন্ধান শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ট্রলার দু’টি জনতা ঘাটে ফিরে এসেছে বলে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় জনতা। নিখোঁজ এর ঘটনায় (৩ নভেম্বর) মনপুরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন এফবি রিনা-১ এর মালিক আক্তার হোসেন।
স্বাভাবিকভাবে ৬/৭ দিনের মধ্যে মাছ ধরে কূলে ফিরে আসার নিয়ম থাকলেও ১১ দিনেও ট্রলারসহ জেলেরা ফিরে না আসায় তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিখোঁজ ট্রলার এর পাশে থাকা শিপন মাঝি জানান, সাগরে বাতাস যখন বাড়ছে তখন রেডিও ওপেন করে শুনি সাত নাম্বার বিপদ সংকেত চলে। সাথে সাথে নিখোঁজ ট্রলার জাহাঙ্গীর মাঝির কে বলে জাল টানা শুরু করি। পরে আমার জাল টেনে ঘাটে দিকে চলে আসি। পিছন থেকে আর সে ট্রলাটি দেখা পাই নি। তবে অনেকের ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় হামুর প্রভাবে সাগরে ট্রলারটি ডুবে যেতে পারে। উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া বিভিন্ন আড়তঘাটে অপেক্ষা করছেন নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ সম্পর্কে মালিক পক্ষের কাছ থেকে জানতে পারলাম। নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং সারা বাংলাদেশে আমাদের পক্ষ থেকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন