দুমকি উপজেলার ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
![](https://www.bholarkhobor.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
এম এ অন্তর হাওলাদারঃ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুমকি উপজেলার ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড.হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার। অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারন সম্পাদক শাহজাহান আকন সেলিম, ভাইস-চেয়ারম্যান মাসুদ আল মামুন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ গোলাম মর্তুজা, মাওলানা আলমগীর হোসেন, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম শহিদুল ইসলাম ও দুমকি প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নাঈম হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২২ অক্টোবর দক্ষিণাঞ্চল সফরের সময় লেবুখালীর বটলাতলায় এক পথসভায় বক্তৃতাকালে ক্ষমতায় গেলে দুমকিকে উপজেলায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ২০০০ সালের ০৮ জুলাই এক বর্ষণমুখর দিনে দুমকি প্রশাসনিক উপজেলার উদ্বোধন করেন তিনি। উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়(পবিপ্রবি) বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড.হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার নেতৃত্বে বহু আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় দুমকী উপজেলা। এর আগে এখানে একটি পুলিশি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করেন সাবেক কেবিনেট সচিব ও মন্ত্রী মরহুম এম কেরামত আলী। মূলত সেখান থেকেই শুরু অগ্রযাত্রা। বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের চতুর্থ বৃহত্তম লেবুখালী (পায়রা) সেতু ও একটি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দুমকী উপজেলায় অব্স্থিত। এছাড়া উপজেলার কোল ঘেষেই গড়ে উঠেছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। দুমকী উপজেলায় বর্তমানে লেবুখালী, পাঙ্গাসিয়া, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া ও শ্রীরামপুর নামে পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। ৮০.৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট উপজেলাটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় এক লক্ষাধিক।