দুমকিতে কোরবানি উপলক্ষে জমে উঠেছে গো-হাট।
এম এ অন্তর হাওলাদারঃ ঈদুল আজাহা উপলক্ষে পটুয়াখালীর দুমকিতে বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশু পনের সহস্রাধিক। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৩৫ টি খামার, এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের খামারি ও গৃহস্থ মালিকরা এসব গবাদি পশু কোরবানিতে বিক্রির জন্য লালন পালন করেছে। এরমধ্যে পাঁচ হাজার ষাঁড়, বলদ গরু ও নয় হাজার ছাগল। এছাড়াও মহিষ, গাভী, বকরী ও দুম্বা মিলিয়ে সহস্রাধিক গবাদি পশু কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এসব গবাদি পশু কোরবানিতে বিক্রির জন্য জমে উঠেছে গো হাট।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি উপলক্ষে নিরাপদ মাংস উৎপাদনের লক্ষে এসব গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে কোন ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়নি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তদারকি ও পরামর্শক্রমে খামারিরা গবাদি পশু লালন পালন করেছে।
উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চান্দখালীর খামারি বেল্লাল জোমাদ্দার সংবাদ’কে জানান, তার খামারে আসন্ন ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য ৯০টি উন্নত জাতের ষাড় ও গাভী রয়েছে। তিনি উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরের পরামর্শক্রমে মোটাতাজাকরণে কোন ক্যামিকেল ব্যবহার করেননি। বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত মানের ঘাস, খড়, খৈল, ভূসি,গম,ডালের ভূসি, কুড়া খাওয়ানোর মাধ্যমে মোটা তাজাকরণ করা হয়েছে।
হাজীর হাট এলাকার খামারি লুৎফর রহমান জানান, তার খামারে ১৬টি দেশী জাতের ষাড় লালন পালন করেছেন, সবগুলোই কোরবানিতে বিক্রির জন্য ঠিক করেছেন। বড় জাতের একটি ষাড়ের মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকার উপরে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এবছর গবাদি পশুর মূল্য অনেক বেশি।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের অপর এক খামারি সাঈদ মৃধা বলেন, তার খামারে ফ্রিজিয়ান ও স্কাইওয়াল জাতের ৪টি ষাড় কোরবানিতে বিক্রির জন্য বর্তমানে বরিশালের চরমোনাই গো হাটে আছেন। প্রতিটি ষাঁড়ের মূল্য দশ লক্ষাধিক টাকা হতে পারে আশা প্রকাশ করেন। তবে মূলধন খাটিয়ে বেশ লাভবান হবে বলে জানান তিনি।
ইতিমধ্যে খামারিরা গবাদি পশু বিক্রি শুরু করেছে। গ্রামের কৃষক ও গৃহস্থরা বিক্রির জন্য বিভিন্ন গবাদি পশুর হাট বাজারে উঠানো শুরু করেছে। প্রায় সকল খামারি ও মালিকদের গবাদি পশু বিক্রির জন্য তৎপর হতে দেখা যায়।
এব্যাপারে দুমকি উপজেলা প্রানীসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান সংবাদ ‘কে জানান,
উপজেলার খামারি ও গৃহস্থ মালিকদের ক্যামিকেল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে যাতে জনসাধারণ নিরাপদ স্বাস্হ্য সম্মত গবাদি পশু দিয়ে কোরবানি দিতে পারে।
উল্লেখ্য আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এসকল গবাদি পশু স্হানীয় হাটবাজারে সহজে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ৯টি অস্হায়ী ও ১টি স্হায়ী হাট বসানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন।
অপরদিকে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার জানান, কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার গবাদি পশুর হাট বাজার গুলোতে পুলিশ টিম জাল টাকার সনাক্ত কারী মেসিন সহ মনিটরিং করছে এবং যাতে মলমপার্টি, ছিনতাই বা কোন রকম অপরাধ মূলক কার্যক্রম সংঘঠিত না হয় সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছি।