“বাবা সন্তানের বটবৃক্ষ”…….তাকী আহমাদ
ভোলার খবর ডেস্কঃ দুই অক্ষরে লেখা একটি শব্দ, বাবা ! বাবারা হলেন খুবই কৃপণ,খুবই হিসেবি নিজের প্রতি। তবে পরিবার ও সান্তানদের জন্য নিজ ভাণ্ডারের সব দিতেও তিনি কার্পণ্য করেন না । যেখানে আমি সামান্য জ্বর, সর্দিতে কাবু, সেখানে অস্বাভাবিক জ্বর, অসুস্থতা নিয়ে সুস্থতার ভান করে চলেন প্রতিটি ক্ষণ । বাবারা হলেন বহমান নদী,কখনো জোয়ার,কখনো ভাটার মাঝে দিন কাটে তাঁর। বাবাদের জীবদ্দশায় বলা অনেক কথাই আমরা বুঝতে পারি না। কথাগুলোর বাস্তবতা বুঝতে পারি না। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর জীবন ও বাস্তবতার মুখামুখি হয়ে, তাঁদের কথার মর্মগুলো বুঝতে পারি । আর তাদের মৃত্যুর পর যখন আমরাও বাবা হই , তখন টের পাই । বাবার সেই স্বার্থহীন ভালোবাসাগুলো পদে পদে অনুভব করি। বাবারা কখনো সন্তানের সামনে কাঁদেন না, কিন্তু তাঁদের হৃদয়গুলো সবসময় হাহাকার করতে থাকে । তাঁরা কাঁদেন সন্তানের ব্যাথায়,কষ্ট দেখে । বাবারা হলেন পাহাড়সম; সাহসীকতার এক দৃষ্টান্ত ; সামর্থের উর্ধ্বে গিয়ে তাঁরা বোঝা বহন করতে পারেন। সেটার প্রভাব আমরা বাহ্যিকভাবে দেখতে পাই না । কিন্তু তাঁরা সে কষ্ট, ব্যাথা অন্তরে পুষে রাখেন। বাবার বুকে মাথা রেখেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা, বছরের পর বছর কাটিয়েছি আমরা। আমাদের অস্তিত্বের উৎসই বাবা। অতএব, আমাদের জীবনের অস্তিত্বের উৎস, জীবনের প্রকৃত নায়ক বাবার স্থানটা হোক নিজের ঘরে, মনের মসজিদে, পরম ভালোবাসায় প্রত্যেকের হৃদয়ে। তাঁরপ্রতি এক সায়র ভালোবাসা। আর বার্ধক্য সময়গুলোতে সব সময় তার সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণের দিকটা প্রাধান্য পাক। ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক ও নিরাপদ থাকুক পৃথিবীর সব মা-বাবা।