আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ ইং, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভোলার বাঘা সিদ্দিক আর বেঁচে নেই!

নিউজ ডেস্কঃ সিদ্দিকুর রহমান আজ ভোর ১১ টায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ৷ মুক্তিযুদ্ধে অদম্য সাহসিকতার জন্য সিদ্দিকুর রহমানকে তার সহ যোদ্ধারা বাঘা সিদ্দিক এবং কখনও হাই-কমান্ড সিদ্দিক নামে ডাকতো। । গ্রামের বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামে। ১৯৪৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রয়াত আব্দুল হক হাওলাদার। সিদ্দিকুর ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভোলা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে ৬ মে ভোলার খেয়াঘাট দিয়ে এসে পাক বাহীনি ওয়াপদাকে মূল ক্যাম্প করে। পরবর্তীতে ওই স্থান থেকে ভোলা সদর সহ অন্যান্য থানা গুলোতে পাক বাহীনি ক্যাম্প স্থাপন করে। ভোলা সহ প্রতিটি থানায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা সহ ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছিল পাক-হানাদাররা। ভোলা সদর সহ বিভিন্ন থানায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা তখন বিচ্ছিন্ন ভাবে তাদের হামলার জবাব দিতেছিল। সংগঠিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ভোলায় কোন নেতৃত্ব ছিলনা। তৎকালীন সেনাবাহিনীতে কর্মরত বোরহানউদ্দিনের সন্তান সিদ্দিকুর রহমান পালিয়ে খুলনা, পটুয়াখালী, বরিশালে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন। ভোলার করুন অবস্থা দেখে ৯ নাম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল তাকে ভোলায় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঠান। সিদ্দিক ভোলায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত করার পরিকল্পনা করেন।
ভোলা হানাদার মুক্তকরনে বোরহানউদ্দিনে ২২ অক্টোরব দেউলার যুদ্ধ এবং ২৭ অক্টোবর টনির হাট যুদ্ধ সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃত। দেউলার যুদ্ধে হাই কমান্ড ছিদ্দিকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী দখদার মুক্ত করে এ অঞ্চল। ওই যুদ্ধে ৬৪ পাক হানাদার নিহত হয় এবং অনেককে বন্দি করা হয়। টনির হাট যুদ্ধে প্রথমে হযরত আলী এবং আজিজল মিয়া পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিন্তু কাঙ্খিত লক্ষ্যে তারা পৌছতে পারছিল না। তখন ছিদ্দিক ও তার বাহিনী সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধে হানাদারদের পরাজিত করেন। ওই স্থানে ৫ পাক-হানাদার নিহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে অন্যরা ভোলায় পালিয়ে যায়। ওই দুই যুদ্ধে ৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর ভোলাবাসী মুক্তির আনন্দ মিছিলে শামিল হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন