আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ ইং, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

আমের পুষ্টি ও ঔষধি গুন!

হাকীম মোঃ রাজিউর রহমান: এখন আমের মৌসুম তাই আমরা গরিব ধনি সকলে কিছু না কিছু আম খেয়ে থাকি। আম অনেক ধরণের পুষ্টি ও ঔষধি গুনে ভরপুর। এতে প্রোটিন, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট, ফাইবার পাশাপাশি ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি 6, ফোলেট, ভিটামিন-কে রয়েছে এছাড়াও পটাসিয়াম, তামা, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস জেক্সানথিন এবং বিটা ক্যারোটিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আম চোখের যত্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। চোখের আলো বাড়াতে আমের রস খাওয়া উচিত। তাজা আমের রান্নায় অনেকগুলি ভিটামিন থাকে। যা শরীরকে শক্তিশালী করে। চোখ সংশোধন করায় গ্লুকোমা এবং গ্লুকোমা জাতীয় সমস্যা হয় না। আমে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা চোখের জন্য উপকারী।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। আমের মধ্যে এমন কিছু ভিটামিন এবং খনিজ থাকে যা মাতৃ এবং শিশুর শরীরে শক্তি জোগায় চিকিসকরা গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
যদি আপনি মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি আম সেবন করুন। আমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা মস্তিস্ককে পুষ্টি সরবরাহ করে। মস্তিষ্ক পুষ্টি পায় না। তাই বিভিন্ন ধরণের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, মাথার যত্ন নেওয়া উচিত।
আম একটি খুব ভাল ফল হিসাবে বিবেচিত হয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে আমের রস খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক স্বাস্থ্যকর থাকে। ত্বক সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা যায়। আমে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
হাঁপানির রোগীদের জন্য প্রতিদিন একটি আম খাওয়া খুব জরুরি। এ ছাড়া আমের রসও খাওয়া যেতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে হাঁপানির প্রভাব হ্রাস পায়। কিছু ক্ষেত্রে হাঁপানিও নিরাময় হয়। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আমের খাওয়া উচিত।
শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া খুব জরুরি। আম আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। শরীরকে শক্তিশালী করে। সুস্থ প্রতিরোধের কারণে শীতের প্রথম দিকে জ্বর হয় না।

ফেসবুকে লাইক দিন