পটুয়াখালী দুমকীতে সংখ্যালঘুর জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ
এম এ অন্তর হাওলাদারঃ পটুয়াখালী দুমকিতে গভীর রাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংখ্যালঘুর জমিতে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাতানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড, ২০ নং তৌজির জেএল নং-৫১-এর ৩৫২ নং খতিয়ানের ৪০০, ৪৩৭ ও ৪৬২ দাগের পৈত্রিক সূত্রে মালিক বনমালী শীল। তার ভাতিজা দুলাল শীলের ছেলে রাধেশ্যাম শীল অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাতো দাদা বনমালী শীল ১৯৭৭ সালে ভারত চলে গেলে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে ওই জমি আমরা ভোগদখল করে আসছি। একই এলাকার আঃ লতিফ হাওলাদার গং একটি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ওই জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। সেই সূত্রে গত ২ জুন দিবাগত রাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে মৃত. আঃ লতিফ হাওলাদারের উত্তরসূরীরা একটি নতুন ঘর নির্মাণ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আঃ লতিফ হাওলাদারের মেয়ে মাহিনূর বেগম বলেন, আমার বাবা ও আমার স্বামী সেলিম হাওলাদার ১৯৯৪ সালে ওই জমি বনমালীর কাছ থেকে ক্রয় করলে তা আমরা এত দিন ভোগ-দখল করে আসছি। কিন্তু বীরবল শীল ওরফে বিমল শীল ও রাধেশ্যাম শীলসহ বিভিন্ন লোকজন মারফত আমাদের হুমকি ধামকি দিলে আমরা দুমকি থানায় একটি অভিযোগ করলে কোর্ট ওই জমিতে তারা যেন অনুপ্রবেশ না করতে পারে তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর আগেও জমির মালিকানা দাবী করে তারা একটি অভিযোগ আদালতে দাখিল করলে আদালত কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট না হলে ওই অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার সংবাদ’কে জানান, ৯৯৯- এর অভিযোগ ছিল। সে মোতাবেক আমি এস আই পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে জমিজমা সংক্রান্ত আইনি যে পদক্ষেপ আছে তা নেয়া হবে।