কাউখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন\ লাখ টাকা জরিমানা পরেও থামছে না কালীগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম।
নিউজ ডেস্কঃ কাউখালীতে প্রভাশালীরা কালী গঙ্গা নদীর মোহনায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে দ্বীপ ইউনিয়নের ভাঙ্গনের হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম। জানাগেছে, কাউখালীর ১নং সয়না রঘনাথপুর ইউনিয়নে সয়না গ্রামের পশ্চিম পাশ থেকে বয়ে যাওয়া কালী গঙ্গা নদী। এ নদীর পিরোজপুরের হুলারহাট অংশে রয়েছে একটি বালু মহল। এই মহলটি সরকার ইজারা দিয়ে নিয়মিত রাজস্ব আদায় করছে। অপর দিকে কাউখালীর অংশে কোন বালু মহল না থাকলে ও নিয়মিত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে এক শ্রেণির বালু ব্যবসায়ীরা। ফলে কাউখালীর দ্বীপ ইউনিয়ন নামে খ্যাত ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে এসব গ্রাম গুলো হলো সয়না, রগুনাথপুর, মেঘপাল, ধাবড়ী, বান্নাকান্না, সহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার লোক এখন রাত দিন দূরচিন্তায় দিন কাটে। প্রতিনিয়িত বালু উত্তোলনের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানান, মেঘপালে স্থানীয় মেম্বর ফিরোজ খান। তিনি বলেন নদী ভাঙ্গনে ক্ষতি গ্রস্থ হয়ছে ধাবড়ীর মাহবুব হাওলাদার, সত্তরশেখ, হানিফ শেখ, সুকুরঞ্জন হালদার, মন্নান হাওলাদার,সহ অসংখ্য মানুষ। অনেকেই জমি ও বাড়ী হাড়িয়ে ভুমিহীন হওয়া ঠাই হয়েছে মুজিব বর্ষের আশ্রায় কেন্দ্রে। নদী ভাঙ্গান রক্ষার জন্য এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায় এজন্য সংশিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ জেলা প্রসাশক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। ফলে জেলা প্রসাশন থেকে কালী গঙ্গা নদীর সয়না মোহনায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারনে কয়েকদফা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচলনা করেন। সম্প্রতি জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রড তারিকুল আলম ড্রেজার থেকে বালু উত্তোলনের দায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এতেও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন থামছে না বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য ফিরোজ খান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান,কাউখালীতে কোনো বালু মহল নেই। অবৈধ ভাবে যদি কেউ বালু উত্তোলন করলে তার বিরোদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।