পাথরঘাটায় পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষকদের লাইব্রেরী। প্রচন্ড তাপদাহে টিনসেড ঘরে শিশুদের ক্লাস!
নিউজ ডেস্কঃ ভবন না থাকায় এলজিইডির পরিত্যক্ত ভবনে স্কুল শিক্ষকরা অফিসকক্ষ (লাইব্রেরি) বানিয়েছেন! বাড়ছে জীবনের ঝুঁকি। অপরদিকে জৈষ্ঠের প্রচন্ড খড়তাপে খোলামাঠের টিনসেড ঘরে পাঠগ্রহনে বাধ্য হচ্ছে প্রাইমারির কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলাধীন ১০১ নং পূর্ব কাঠালতলী নপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে এমন চিত্রই ফুটেছে।
বিদ্যালয়ের ছাদ ও দেয়াল থেকে প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে সিমেন্ট-বালু ইট সহ পুরাতন পলেস্তার। জানালা-কপাট খুলে পরে আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মেঝেতে। এলজিইডি কর্তৃক পরিত্যক্ত ঘোষিত এই প্রাইমারী স্কুলটির একটি কক্ষ লাইব্রেরি হিসেবে এখনও ব্যবহার করছেন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ কতৃপক্ষ ।
বিদ্যালয়ের সামনে একটি বিকল্প টিনসেড ঘরে আপাতত দেয়া হচ্ছে পাঠদান। এই জৈষ্ঠ্যের প্রখড় রোদে টিনের তাপে প্রায়শই শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন মাস্টার বলেন, আমরা ভবনের জন্য বার বার মৌখিক ও লিখিত আবেদন নিবেদন করেছি। দু:খের বিষয় হল তাতে কোনো সারা মিলছে না। আমাদের জরুরি দরকার এই বিদ্যালয়ের ভবনটি।
প্রধান শিক্ষক শিউলী বেগম বলেন,আমরা শিক্ষাখাতে দেয়া সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। এখন দাবী শুধু ভবনের। ঘূর্ণঝড় শুরু হলে কিংবা কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরম্ভ হলে শিশুরা আতঙ্কিত হয়েপরে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াসমিন আরা বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় প্রতি মুহূর্তেই আতঙ্কের মধ্যে থাকে শিশুরা। এছাড়াও অতিরিক্ত গরম ও তাপদাহে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরছে প্রায় প্রতিদিন ।
স্থানীয়রা বলেন, প্রাইমারি হচ্ছে মানুষ গড়ার প্রথম ধাপ আর সেখানে যদি আসে জীবনমরণের প্রশ্ন,তখনই সঙ্কার মুখে পরবে ওই এলাকাটির প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টি এম শাহ আলম বললেন, আমরা এ বিদ্যালয়টিকে জরাজীর্ণ ভবনের তালিকার আওতায় নিয়েছি। এলজিইডি ভবনটিকে আরও আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেছে।
বর্তমান অর্থ বছরেও উপরমহলে ফের তালিকা পাঠিয়েছি। আশাকরছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই দূর্ভোগ লাঘবে ভবন নির্মাণে অনুমোদন মিলবে।