আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ ইং, ২০শে মুহাররম, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

কাউখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

এম এ অন্তর হাওলাদারঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। শনিবার (২০ মে) কাউখালী বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতারা বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্যর দাম। বাজারদর অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ভোগান্তির শেষ নেই। ১ কেজি পিয়াজ ৭৫ টাকা, রসুন ১৭০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ৫০০ টাকা, মসুরি ডাল ১৪০ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২00 টাকা, আলু ৩৫ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা দরে কেজি বিক্রি আছে। এক হালি ফার্মের ডিম ৪৮ টাকা, বয়লার কেজি ২২০ টাকা, সোনালী ৩৫০ ,লাল মুরগির ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি মসলার দাম ২/৩ গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম দ্বিগুণহারের বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার করতে এসে দিনমজুর শুকুর আলী জানান, যে হারে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সবজি বিক্রিতা আল-আমিন হোসেন জানান, বৃষ্টিপাত কম ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন কম হওয়ার কারণে দাম বেশি। মুদি ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, সিন্ডিকেট করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারদর ইচ্ছা করে বাড়িয়ে দিয়েছে। মুদি ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম জানান, মালের সরবরাহ কম ও পরিবহন খরচ বেশি পড়ায় দ্রব্যমূল্যর দাম বেশি। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা বলেন, বাজারের দর নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন