আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

চলে গেলেন না ফেরার দেশে, বাংলাদেশ বুক ডিপোর স্বত্বাধিকারী ভোলার জিএম সাঈদ (চাঁন)

নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে স্ট্রোক। হাসপাতালে নেয়ার পথে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ। ইন্না-লিল্লাহে.. রাজিউন। ২০ বছর আগে ভোলার বই ব্যবসা বড় ভাইকে ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস ও প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করে। অল্প সময়ে সফলতা তাকে চুঁড়ায় তোলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোটটা অস্ট্রেলিয়ায়। ছোট ছেলে বিবিএ পড়ছে। গেল দুই বছর করোনাকালিন ব্যবসায় মন্দার মধ্যে পড়ে চাঁন। এর পর স্ট্রোক জনিত অসুস্থতা। কিছুটা বৈরি পরিবেশ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে চাঁন।
এ অবস্থায় আমাদের মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জামায় জিএম সাঈদ চাঁন মিয়া (৫৪)। তিনি ছিলেন ভোলা সরকারী স্কুলের ১৯৮৪ সালে ব্যাচ তার বন্ধু মহলের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় শৈশব, কিশোর, স্কুল, কলেজ জীবন ছিল স্মৃতিময় । তার দুষ্টামীও ছিল ছন্দময়।মনটা ছিল উদার ।
চাঁন সম্পর্কে জানতে গিয়ে (৮৪) চুরাশিয়ান বন্ধু অমিতাভ রায় অপু, সহকারী অধ্যাপক (আইসটি), বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ, সাধারণ সম্পাদক, ভোলা প্রেসক্লাব কথা বললে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে তার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন চাঁন আমার ক্ষুদে বিজ্ঞানী সংসদের সদস্য ছিল ‘। ভালো নাম জিএম সাঈদ। পরীক্ষায় আমাদের মত প্রথম বা দ্বিতীয়’র জন্য প্রতিযোগিতা না করলেও ১০ জন বন্ধুর মধ্যে চানও ছিল। আমরা অনার্স- মাস্টার্স শেষ করতে জেলার বাইরে চলে গেলেও ঈদে বা বন্ধে বাড়ি ফিরলে বাসার সামনে ব্রিজে বা ওদের বই’র দোকানে বসে আড্ডায় চাঁন ছিল মধ্যমনি।
ঈদের পরের দিন। ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় প্রেসক্লাবে আসে ৮৪ চুরাশিয়ান বন্ধু সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহিম খোকন, প্যারাডাইস বুকডিপো’র ব্যাবসায়ী মাহাবুব মোর্শেদ বাবুল, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলন, কবি মাকসুদুর রহমান (পট)। আড্ডা দিলাম। আলোচনা ওঠে চানকে নিয়ে মাকসুদের লেখা উপন্যাস ‘ চান্দু কারাগারে’ বই নিয়ে। তাৎক্ষণিক আমি চান্দু ( চান) কে ফোন দিয়ে কুশলাদি জেনে, আড্ডার বিষয় তুলে ধরি। ওই সময় চাঁন অভিযোগ করে, ৮৪র মিটিং এ তাকে কেন জানানো হয় নি। অভিযোগ খন্ডাতে বাবুলকে ফোনে ধরিয়ে দেই। বাবুল জবাব দেয়। পরে আমাদের আড্ডার বিষয় হয়ে ওঠে চান্দু কারাগারে বই নিয়ে। ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ সালের দিকে “চান্দু কারাগার“ বইটি ছাপিয়ে মাকসুদ শতাধিক বই চানের দোকানে বিক্রির জন্য সেলফে সাজিয়ে রাখে। কিছুদিন পর চাঁনের ভাগ্নে বলে, মামা তুমি কি জান এই বইতে কি লেখা আছে? চাঁনের সহজ উত্তর না। বললো তুমি কি কি ( অ-কাজ) করেছো তার বিবরণ। মামি যদি দেখে তোমাকে বাসায় ঢুকতে দেবে না। বলিস কিরে, বলেই, ভাগ্নেকে বলে ‘বই সব ড্রেনে ফেলে দে’। আজ চান চলে গেল পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। মহান আল্লাহ চাঁনকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন। আমিন

ফেসবুকে লাইক দিন