ভোলায় সুর্যমূখী চাষের বাম্পার ফলন।
![](https://www.bholarkhobor.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেস্ক: ভোলায় সুর্যমূখী চাষ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ফুলের তেলের চাহিদা থাকায় কৃষকরা সুর্যমূখী চাষে বেশী আগ্রহী। এখানকার কৃষকরা হাইসান-৩৩ ও বারি-৩ সুর্যমূখী চাষ করছেন। কৃষি অফিস জানায় প্রতি হেক্টার প্রতিফলন ১.৬-১.৮ টন। প্রতি কেজি সূর্যমূখী ফুল থেকে শতকরা ৪২-৪৪ ভাগ তৈল পাওয়া যায়। সরোজমিনে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের প্রভাষক মোঃ জাকির হোসেনের ক্ষেতে অপরুপ দৃশ্য দেখা যায়। সবুজের মাঝে সুর্যের দিকে তাক করা এ যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। প্রভাষক জাকির জানান নিজের শখের থেকে ১ একর জমিতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করছি। এ ফুলে তৈল খুব সুস্বাদু আশা করছি ভাল ফলন পাব এবং তৈল উৎপাদন করতে পারব। কথা হয় চাষী আব্দুল জলিলের সাথে তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে ফুল চাষ করেছেন। ফলন ভাল হওয়ায সে খুব খুশি। ভোলা জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ হাসান ওয়ারেসুল কবির বলেন, জেলায় চলতি বছর সূর্যমুখি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলে ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৭৩২ হেক্টর জমিতে। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, জানান, চলতি বছরে ভোলা জেলায় ১০০০ কৃষকের মাঝে ১০ কেজি ডিএফপি ও ১০ কেজি এমএসপি সার এবং ২ কেজি বীজ যার বাজার মূল্য ২০০০ টাকা করে প্রত্যেককে প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬৫ টি প্রদর্শনী করে যার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে কৃষি বিভাগ।
এ ছাড়াও সূর্যমুখি তেল পুস্টিগুনে ভরপুর ও চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় দিন দিন সূর্যমুখির আবাদ বেড়ে চলছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় কৃষকরা জানান এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ যদি আমাদেরকে সাহায়তার পরিমান বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমার সূর্যমূখী চাষের মাধ্যমে তৈলের চাহিদা পুরণে ভুমিকা রাখতে পারব।