পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কান্ডারী হলেন যারা।
ডেস্ক নিউজ: আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন, গাজীপুরে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনায় তালুকদার আব্দুল খালেক।
মনোনয়ন প্রত্যাশী বাদ পড়েছেন বরিশালের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
বরিশালে মনোনয়ন পাওয়া আবুল খায়ের আবদুল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছোট ভাই।
এবার নৌকার মনোনয়ন পাওয়া আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের আওয়ামী লীগে কোনও পদপদবিতে নেই। তিনি পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিভৃতচারী ছিলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, পারিবারিকভাবে ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই খোকন সেরনিয়াবাতের চাপা দ্বন্দ্ব রয়েছে। সাদিক স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ানোর পর থেকে খোকন সেরনিয়াবাতের নাম সামনে আসে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার টিকিট পাওয়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন। যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার টিকিট পাওয়া আজমত উল্লাহ খান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে (২০১৩ সাল) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন।
ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর আলম। তখন নির্বাচনে জয়লাভ করেন বিএনপির (প্রয়াত) নেতা এম এ মান্নান। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকার টিকিট নিয়ে মেয়র হলেও বহিষ্কৃত হন জাহাঙ্গীর আলম। পরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে। খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২১ জুন। এসব ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।