আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভোলার চরফ্যাশনে রাতের আধারে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, আহত সোহেল হাসপাতালে ভর্তি!

মেহেদী হাসানঃ-
ভোলার জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানায় রাতের আধারে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেন সোহেল(২১) নামক যুবককে। আহত সোহেল(২১) মৃত্যুর শয্যায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গভীর রাতে আহত সোহেল বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মনির (২৫) ও মিরাজ(২০) দুই স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী কায়দা আক্রমণ করেন। থানায় মামলা নিতে না চাওয়া বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগে করেন। লিখিত অভিযোগ আহত সোহেল(২১) অভিযোগ করেন, আসামি মনির কয়েক দফায় আমার পিতা ও আমার নিকট আমার বসত বাড়ীতে কিছু টাকা ধার চাইতে আসেন, আমার পিতা ও আমি টাকা ধার দিতে অসম্যতি জানালে, ১নং বিবাদী মনির আমার ও আমার পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং বলে বেড়ায় বেশি টাকা হয়ে গেছে সময় মতো জবাব নেব বলে এবং নানা ধরনের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভিতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি আমি স্বাক্ষীগন ও স্থানীয় কয়েকজনকে জানিয়ে রাখি। হঠাৎ ০২/১২/২০২২ইং তারিখ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আনুমানিক রাত ১১ টার সময় আমি বাজারে মাছ বিক্রয় করে বাড়িতে ফেরার পথে মনির ও মিরাজ আমার উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়, মনির তার হাতে থাকা ধাতব অস্ত্র দ্বারা আমার মাথার উপর আঘাত করার চেষ্টা করেন, আমি হাত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে আঘাতটি গিয়ে আমার পায়ে লাগে ফলে আমার পা ভেঙ্গে যায় আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি। সাথে-সাথে মিরাজ তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায় আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে ওই আঘাতটি গিয়ে আমার পিঠ ও কাঁধে লাগে ফলে একাধিক জাগা পিলাফুলা জখম হয় এবং ১ নং বিবাদী মনির আমার পকেটে থাকা নগদ ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার ) টাকা ও হাতে থাকা মুঠো ফোন যার অনুমানিক মূল্য ২৫,০০০টাকা এবং দুইটি ব্যবহার্য আংটি যার অনুমানিক মূল্য ২৮,০০০টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় । আমার ডাক চিৎকার শুনে স্বাক্ষীগন ও স্থানীয় লোকচান বিষয়টি দেখে ফেলে এবং লোকজন জড়ো হতে শুরু করে ১নং মনির(২৫) ও ২নং মিরাজ(২০) আসামী ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন যখন আমাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চেয়েছে তখন এবং ৩নং আসামী হাবিবউল্লাহ(৪৮) তাতে বাঁধা প্রদান করেন এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নারীজনিত অপবাদ সহ নানান ধরনের অপবাদ দেয় ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি ও ভয়ভিতি প্রদর্শন করেন। কিছুক্ষন পর আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে প্রেরন করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে আমি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছি। বিবাদী পক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় নানান হুমকি ধামকি এখনো দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায়ও অজ্ঞাত ব্যক্তিবর্গ যারা আমাকে থানায় মামলা বা কোন অভিযোগ না করার জন্য নানা ধরনের হুমকি ধামকি ও ভয়ভিতি প্রদর্শন করেন বলে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিয়ে ভোলা পুলিশ সুপার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন অতিদ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।। বিষয়টি নিয়ে শশীভূষন থানার ওসির নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, থানা কোন এ ধরনের অভিযোগ আসেনি, আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আসছে বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে…….

ফেসবুকে লাইক দিন