ভোলায় পিস্তল রফিকের আতঙ্কে কুঞ্জের হাটবাসী,এমপি মুকুলের হস্তক্ষেপ কামনা!!
মেহেদী হাসান,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ভোলায় পিস্তল রফিকের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ও সব সময় আতঙ্কে থাকতো বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জিহাট এলাকাবাসী এমনটাই জানিয়েছেন পিস্তল রফিকের স্ত্রী নিলুফা বেগম।। নিলুফা আরো জানান,বোরহানউদ্দিনে কিশোর গ্যাং এর গডপাদার পিস্তল রফিককে র্যাব অভিযানে গ্রেপ্তারের পরপর এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে।। অপহরণ সহযোগী আসামী রফিকুল ইসলাম ওরফে পিস্তল রফিকের প্রথম স্ত্রী নিলুফা বেগম সাংবাদিকদের আরো জানান, পিস্তল রফিক একজন অসৎ চরিত্রের লোক বটে,কালো কারবারী,নারীবাজী, বোরহানউদ্দিনের কিশোর গ্যাং এর গডফাদার ও বটে।। নিলুফা অভিযোগ করে বলেন,পিস্তল রফিকের কাছে সব সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র থাকে যা দিয়ে রাতের আঁধারে পিস্তল রফিক নানান অপকর্ম করে বেড়ায়, নিলুফা তথ্যচিত্র দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচিত সন্ত্রাসী পিস্তল রফিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার সময়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ একটি ছবি ইতিপূর্ব ভাইরাল হয়, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা এই ছবিগুলো জাতির কাছে তুলে ধরেন।। নিলুফা আরো বলেন এমনকি এই পিস্তল রফিক আমাকে বিয়ে করে আমার টাকা পয়সা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন এবং নানান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে দুই সন্তানসহ আমাকে তালাক প্রদান করেন।। যা নিয়ে বর্তমানেও বিজ্ঞ আদালতে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনি মামলা চলমান রয়েছে।। নিলুফা সর্বশেষ অশ্রুসিদ্ধ চোখে আরো বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে বোরহানউদ্দিনের জননেতা এমপি মুকুলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।।
এদিকে ভোলার আলোচিত ঘটনা ভোলা সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় র্যাব-৮ এর বিশেষ অভিযানে মূলহোতা পিস্তল রফিক ওরফে রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার দোসর কামরুল ইসলামসহ গ্রেফতার হয় । অপহরণকৃত শিক্ষার্থীর বাবা জানান গত ১৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখ দুপুর ১২ টা ২০ ঘটিকার সময় ভোলা সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির একজন ছাত্রী ক্লাস শেষে কলেজের গেট থেকে বের হওয়া সাথে সাথে ভোলার বোরহানউদ্দিন কুঞ্জের হাট এলাকার অপরাধ জগতের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের ডন পিস্তল রফিক ওরফে রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫০) ও কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া (১৮)সহ অন্যান্য সহযোগী অজ্ঞাতনামা চার ও পাঁচ জন মিলে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণকৃত শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।। উক্ত ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা করেন, মামলা নং ৩৭/১৭.১১.২০২২। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হলে র্যাব ৮-এর দৃষ্টিগোচর হয়।। ফলে ভোলা র্যাব ৮-ক্যাম্প ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। র্যাব ৮- ভোলা এর একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বোরহানউদ্দিন থানার কুঞ্জের হাট বাজার এলাকার ২নং আসামীর বাড়ী থেকে গৃহবন্দী অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে। মামলার মূলহোতা ১ নং আসামী মোঃ কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া (১৮) ও সহযোগী আসামি ২ নং আসামী পিস্তল রফিক অরফে মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া কে (৫০) গ্রেফতার করে র্যাব ৮ এর একটি চৌকোস টিম। ব্যাটেলিয়ান র্যাব ৮ এর ইনচার্জ জানান,চিহ্নিত দুই আসামিকে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম গ্রহনের জন্য ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর পিতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জানান মূলত ঘটনাটি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পরিচালনা করেন, পিস্তল রফিক ওরফে রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আমি রফিকসহ সকল অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।।
বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমি নিজেই, অপহরণকারীরা ভোলা ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজের সামনে থেকে ভুক্তভোগী কি অপহরণ করেন।। ঘটনার পরিকল্পনাকারী অপহরণ সহযোগী পিস্তল রফিকের বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।। মামলাটি তদন্ত চলমান।। র্যাব ৮ ব্যাটেলিয়ান সহ যৌথ অভিযানে পিস্তল রফিক ওরফে রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং ফান্ডা কামরুল ওরফে কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া দুই আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।।
উল্লেখ্য অপহরণকারী ১নং আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে ফান্ডা কামরুল বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নে অন্যজন অপহরণের সহযোগী ও অপহরন পরিকল্পনাকারী পিস্তল রফিক ওরফে রফিকুল ইসলাম ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকার কুঞ্জেরহাট বসবাস করেন।।
আসছে বিস্তারিত ৩য় পর্বে……