ভোলার তজুমদ্দিন চর-জহিরউদ্দিনের সন্ত্রাসী গডফাদার মাহে আলমের হুংকার, জনমনে আতঙ্ক ।।
দিদার হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার!!
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর-জহির-উদ্দিন সোনাপুর ইউনিয়নের হানিফ ব্যাপারীর খাল সংলগ্নে, “বিলকিস সহ অসংখ্য মানুষের গরু ছাগল মহিষ চুরি সহ জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল ও উচ্ছেদ সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাহে-আলম নেতার বিরুদ্ধে।
যায়গা জমি দখল চাঁদাবাজি-উচ্ছেদ ও চুরি-ডাকাতি সহ সকল অপকর্মের সঙ্গে মাহে-আলম জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়-রা। সাধারন অসহায় নিরীহ মানুষের মহিষ গরু ছাগল ঘর চুরি ডাকাতি-সহ জমি থেকে উচ্ছেদ সহ সকল কিছু চলছে তার নেতৃত্বে। উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের হানিফ বেপারী খাল সংলগ্নে বিলকিস, “সোনাপুর মৌজা ১.৫ একর, “খতিয়ান নং ৯৬, দাগ নং ২২৯৪ এর বন্দোবস্ত হান্নানের জমিতে নগদ চাষা হিসেবে বসবাস করে আচ্ছে প্রায় ২৫ বছর। হান্নান শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মেয়ের বিয়ে দিতে আর্থিক সমস্যা, “বিলকিস এর কাছে স্ট্যাম্প প্যাড এর মাধ্যমে ০১-০৩-২০২০ সালে জমিটি বিক্রি করেন হান্নান।
এর পর থেকে বিলকিস কে জমিটি ছাড়ার জন্য একাধিক বার চাপ সৃষ্টি করেন মাহে-আলম। সোনাপুর মৌজার ১.৫ একর, “খতিয়ান নং ৮৬, দাগ নং ২২৯৩ দেখিয়ে মাহে-আলম বিলকিস কে জমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেন, “পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মীমাংসা করার জন্য চেষ্টা করেন স্থানীয় শালিশ, “বেশ কয়েকবার আমিন ও ভূমি অফিসের সার্ভার নিয়ে কোন সমাধান পানি বিলকিস। জমি থেকে উচ্ছেদ না করতে পেরে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বিলকিসের বাবা আলতু মাঝির, ঘর চুরি করান মাহে-আলম। টাকা-পয়সা স্বর্ণসহ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যান তারা। পরে বিষয়টি নিয়ে চর জহির উদ্দিন পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন, “মাহে-আলম এর বাহিনী আলমগীর ও নজির দুই চোরকে চিহ্নিত করে তিন পুলিশ কর্মকর্তা মঝিবল জামাল মনির সহ আটক করেন দুই চোর সদস্য কে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাহে-আলম ও ইসমাইল মাস্টার নামে এক ব্যক্তি সহ তাদেরকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন।
সর্বশেষ মাহে-আলম তার বাহিনী বেলায়েত কে বিবাদী করে ভোলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৯ -১১-২০২১ইং তারিখে একটি মিথ্যা মামলা করেন ৬ জনকে আসামি করে। ১/ মোঃ মহিউদ্দিন ২/ হেজু ৩/ বিলকিস বেগম ৪/ আলতু মাঝি ৫/ ঝুমুর ৬/ রাশেদা। মামলা নং ১৭ ঐ মামলায় উল্লখ্য করেন, বিলকিস জুলুম জোরপূর্বক ভূমি দখল লাঠিয়াল বাহিনী সহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের কে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে মাহে-আলমের বিরুদ্ধে। সাধারন অসহায় নিরীহ মানুষকে ভয় ভিত্তিক দেখিয়ে জোরপূর্বক গরু ছাগল মহিষ নগদ অর্থ সহ জমি দখল করে অনেক পরিবারকে উচ্ছেদ করেছেন মাহে-আলম। সালিশ বৈঠকে নগদ অর্থ জরিমানা করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন ক্যাম্পাসার ও কবিরাজের কাছ থেকে নগদ অর্থ দাবি করে থাকেন, “টাকা দিতে অস্বীকার করলে হুমকি-ধামকি মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্র, মালেক জানান তার নামে বন্দবস্ত করা সোনাপুর মৌজার খতিয়ান নং ৯৩, দাগ নং ২২৯৫ ও ২২৯৬ এর জোরপূর্বক ভাবে প্রায় ৮ বছর দখল করে ভোগ করে যাচ্ছেন মাহে-আলম। ৫০,০০০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তাহার কাছ থেকে, “টাকা না দিতে পেরে জমিন থেকে তাকে উচ্ছেদ করে দেন। বিভিন্ন সময় হুমকি দেন জমিনে আসলে তাকে মারধর করার, “ভয় ভিত্তিক দেখানো হয়, “মামলাদিয়ে জেলে পাঠানোর একের পর এক হুমকি প্রধান করেন। আলতু মাঝির জানান সেটেলমেন্টের জমিন দেওয়ার কথা বলে নগদ ৮০,০০০ হাজার টাকা নিয়ে জমিন না দিয়ে জমিন ও টাকা ভোগ দখল করেন। আনালক জানান তাহার কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন টাকা না দিতে পেরে তার একটি বন্দবস্ত জমিন থেকে তাকে উচ্ছেদ করে দেন। খালেক জানান তাদের ফ্যামিলি সমস্যা নিয়ে সালিশ করে তার কাছ থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা নেন। শাহিনুর জানান তাহার স্বামী না থাকায় তাকে কুপ্রস্তাভ দেন, সে রাজি না হওয়ার কারণে তাহার দুটি গরু নিয়ে জান। মফিজ পাওটারী জানান র্দীঘদিন তার ও জমিন দখল করে রেখেছেন মাহে-আলম। বিলকিস জানান তাকে জমিন থেকে উচ্ছেদ না করতে পারে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন, বিভিন্ন ভয় ভিত্তিক ও হুমি দিয়ে যাচ্ছেন। মাহে-আলম সহ আরো তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিয়োগ উঠে। মনির, কামাল ও মঝিবল তিন এএসআই পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগিতা চাষাবাদ জমিন থেকে জোরপূর্বক ভাবে ডাল মরিচ তুলে নেন। ঐ সময় এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান বিলকিস।
জমির মূল বন্দবস্ত মালিক হান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাহে-আলম নেতা তার বিভিন্ন সময় জমিনের চাঁদা দাবি করেন হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া কাজ না করতে পেরে আর্থিক সমস্যার কারনে তার মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় তান বন্দবস্ত জমিন টি স্ট্যাম্প প্যাড এর মাধ্যমে ০১-০৩-২০২০ সালে জমিটি বিক্রি করেন বিলকিসের কাছে। এর পর থেকে তাকে আরো বিভিন্ন হুমকিদিয়ে যাচ্ছেন বিলকিসের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও আর্থিক নষ্ট করে যাচ্ছেন। জমিন টি বিলকিস ছাড়া আর কারো কাছে বিক্রয় করা হয়নি বলে জানান তিনি। মাহে-আলম বেলায়েত ও তার ছেলেরা সহ তাকে মারধরের ভয় দেখান বলে জানান ।
বেলায়েতের সাথে যোগাযোক করলে তিনি জানান, জমির মালিক তিনি নিজে । জমির কোন কাগজ পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্ন করে সে জানান মাহে-আলম নেতা বলতে পরেন এবিষয় সে কিছু জানেন না । মামলা ও জমিনের সকল কিছু মাহে আলম জানেন বলে জানান।
মাহে-আলম, চর-জহির-উদ্দিন এর একজন জন-প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে বলেন, তাহার বিরুদ্ধে যেই সকল অভিযোগ আনা হয়েছে সকল অভিযোগ মিথ্যা। সাধারণ অসহায় মানুষের কারো কোন টাকা পয়সা গরু ছাগল কোন জমি থেকে উচ্ছেদ করার কথা কেউ বলতে পারবেন না বলে জানান তিনি। তার কাছে জমিনের কাগজ পত্র আছে কি না সেই বিষয় জানতে চাইলে বিষয়টি এরিয়ে যান।
এ বিষয় এ,এস,আই মজিবুর এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বনেন, সে থাকা অবস্থায় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি সে আশার পরে হইতে পারে বলে জানান। আসামি ছাড়া ও ঢাল মরিচ তোলার সময় সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন না এ সকল বিষয় এস এই কামাল ও মনির তারা বলতে পারবেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়টা এড়িয়ে জান। তিনি বলেন মাহে-আলম বিলকিসের সাথে একটি জমিন নিয়ে বিরোধতা করেন সেই শুবাধে তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
এস আই কামাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা তাদের সহযোগিতা মরিচ ডাল তোলার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন মাহে-আলম একটি লিখিত অভিযোগ করেন ইনচার্জ বরাবর তখন ইনচার্জ ছিলেন নুরুল হক তখন তাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দেন। এর পর থেকে তিনি জানতে পারেন বিলকিসের সাথে মাহে-আলমের সাথে যায়গা জমিন নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এই বিষয়টি স্থানীয় মানুষ সহ এলাকার সকল জন-প্রতিনিধিরা স্থানীয় ভাবে অনেক বার সালিশ বসা বসি হয়েছে তাদে কোন সমাধানে আসিনি। তিনি আরও বলেন বিষয়টি নিয়ে এখনও বিরোধ রয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত এস আই মনির বলতে পারবে সে বর্তমানে বরগুনা সদর থানায় আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যেই সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বলে জানান।