মেঘনায় ব্যবসায়ীদের দুই ট্রলারে ডাকাতি, আহত ১৫
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ব্যবসায়ীদের দুই ট্রলারে দিনে দুপুরে ডাকাতি করে অর্ধকোটি টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতের হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের মধ্যে আক্কাস শেখ (৩৫), হাকিম গাজী (৪৮) ও উজ্জল মাঝিকে (২৫) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের সবাই মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ ও গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী। ঘটনাটি দুপুরে ঘটলেও রবিবার রাতে পুলিশ বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
রবিবার দুপুর ২টায় দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর সদরের সফরমালী লঞ্চঘাট এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাকি আহত ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ট্রলারে থাকা আহত ব্যবসায়ী হাকিম আলী গাজী বলেন, আমিরাবাদ থেকে তারা চাঁদপুর পুরাণ বাজারে ব্যবসায়ীক মালামাল কেনার জন্য রওয়ানা হন। মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাটের কাছে এলে স্পিডবোট নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মুখোশধারী ডাকাত কাটারাইফেল, শটগান, রামদা ও রড নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনগুলোও নিয়ে যায়। পরে তারা মেঘনা নদীর উত্তর দিকে চলে যায়। ওদের গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।
তারা জানান, তাদের সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তারা আগামী দিনে চাঁদপুরে গিয়ে কিভাবে মালামাল আনবেন সে বিষয়ে তারা খুবই আতঙ্কিত।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান বলেন, আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশের ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পরপর নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপিকেও পাঠিয়েছি। আশা করি ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হব।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, ডাকাতদের ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজই আমরা শুরু করে দিয়েছি। তবে এই ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তবে এত টাকা নিয়ে নৌ-পথে মোকামে যেতে পুলিশের সহযোগিতা নিলে ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো হতো।