সরকারের দ্রুত পদক্ষেপে করোনা বড় ক্ষতি করতে পারেনি
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে আন্যান্য দেশের মতো করোনা বাংলাদেশে বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারেনি; এ মহামারি থেকে খুব দ্রুত উত্তরণ করেছে দেশ।২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক ভিত্তিক ফরচুন ম্যাগাজিনে লেখা এক নিবন্ধে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, যাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তার প্রয়োজন, তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর অভিঘাত মোকাবিলা করা হয়েছে। ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ও ব্যবসা উভয়কে সুরক্ষিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে মহামারি বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের মতো মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারেনি।শেখ হাসিনা লিখেছেন, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার সরকারের প্রচেষ্টা ছিল, সবার আগে মানুষের প্রয়োজনের দিকে গুরুত্ব দিয়ে জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় করা এবং তারপর সেইসব ব্যবসা খাতকে প্রণোদনা দেয়া, যেখানে তারা কাজ করেন। মহামারীর একেবারে শুরুতে অতি দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বাস্তুচ্যুত এবং দুঃস্থ নারীদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আমরা খুব দ্রুত নগদ অর্থ এবং অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি চার কোটি মানুষের হাতে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক–চতুর্থাংশ। এই সহায়তা দেয়া হয়েছে ২৮টি পৃথক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে, যার আওতায় মোট ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে, যা আমাদের জিডিপির প্রায় ৬ দশমিক ২ শতাংশের সমান। এ ছাড়া টিকা এবং অন্যান্য জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আমরা আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি। বিশ্বে দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যদি বাংলাদেশে হানা দেয়, তখনও সরকার জনগণের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই সব কিছু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।করোনাকালীন বিশেষ প্রনোদনা, টিকা প্রদান, বাড়তি চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ, আইসোলেশন পদ্ধতিসহ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা নিবন্ধে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীল পরিস্থিত তুলে ধরে তিনি জানান, মাথাপিছু আয় এক দশকে তিন গুণ বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি।শেখ হাসিনা লিখেছেন, নতুন উদ্যোগ আর অতীতের বিনিয়োগের সম্মিলিত ফল হিসেবে অগণিত মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, দেশের অর্থনীতি এই দুর্বিপাক মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি মোটা দাগে প্রায় ২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পাঁচটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি। গত এক দশকে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। মাথাপিছু আয় তিন গুণ বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “মহামারী আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে।