আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে চান? - বিস্তারিত
ঢাকা আজঃ মঙ্গলবার, ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং, ১৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরী
সর্বশেষঃ

ভোলার ভেদুরিয়া মধ্যযুগীয় কায়দায় স্ত্রীকে নির্যাতন!!

বিপ্লব বিডিঃ

ভোলা সদর উপজেলা চরভেদুরিয়া ফেরি ঘাট ৪নং ওয়ার্ডের। মোঃ সাদেক মাতব্বর(৩০) পিং মোঃ হারুন মাতব্বর (৫০)তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম কে মারধর করেন, তার লজ্জাস্থান কেটে দেন সাদেক। ০৪/০৯/২১ইং তারিকে প্রেরায় রাত্র 9:30 মিনিটে স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে কথা নিয়ে কাটাকাটি হয়, স্ত্রীর উপরে রাগান্বিত হয়ে, স্ত্রীকে ঘড়ে থাকা হলুদ-মরিচ পিশানোর পুতা দিয়ে স্ত্রীর লজ্জাস্থানে আঘাত করেন স্বামী সাদেক মতব্বার।
ভুক্তভোগী রাবিয়া বেগম(২৫) ঘটনাটি জানান। আমার স্বামী সাদেক প্যারায় রাত্র গভীরে আসেন, আমি তাকে বলি আপনি কোথায় গিয়েছেন।তিনি বলেন আমি তোর মায়ের কাছে গিয়েছি, আমি তোকে এখন তালাক দিব, তোর মাকে বিবাহ করব। আমার সাথে ঝগড়া করে আমার প্রতি ক্ষিপতো হয়ে ওঠে হলুদ মরিচ পিশার পুতা দিয়ে আমার লজ্জাস্তানে আঘাত করেন। বডিদিয়ে আমার লজ্জাস্তান কেটে দেন তিনি।আমি এবংআমার ছেলে মেয়ের কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে পাশের বাসার লোকজন এসে বাসার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। আমাকে উদ্ধার করে, ভোলা সদর হসপিটালে ভর্তি করেন।যাতে আমার মত এরকম কোন মেয়ে এভাবে নির্যাতন হতে না হয়, আমি এর কঠিন বিচার চাই।
ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা পাশে থাকা লোকজন কে জিজ্ঞাসা করলে। আমাদেরকে ঘটনাটি জানান মাহিমা(27) পিং মোহাম্মদ শাহে আলম পাটোয়ারী রাবেয়া বেগমের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে সম্পূর্ণ সত্য। আমরা রাবেয়া এবং রাবেয়ার ছেলে মেয়েদের কান্না শুনে আমরা দৌড়ে বাড়ির কাছে আসি এবং দেখতে পাই ঘরের দরজা বন্ধ ।তখন দরজা ভেঙ্গে আমরা ভিতরে প্রবেশ করে, রাবেয়া বেগম কে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হসপিটালে নিয়ে আসি এবং তাকে ভর্তি করি এখনো তিনি ভোলা সদর হসপিটালে ভর্তি আছেন।আমরা এলাকাবাসী এই নেশাখোর সাদেকের বিচার চাই যেন এইরকম ভাবে কোন মেয়ের নির্যাতিত হতে না হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন