মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা নিবাস তৈরিতে মাঠে ট্যুরিজম বোর্ড।।
মোঃ আমিনুল ইসলাম।।
বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস গড়ার স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনায়ল সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। সংবাদ প্রকাশ ও জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের পর বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। জাতির জনকের সেই স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনায়ল সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনে বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাসের স্থান সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ ট্যুরিরজম বোর্ডের প্রতিনিধি দল।।
ট্যুরিজম র্বোডের প্রতিনিধি দলটি বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস স্থান পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময় করেন।
বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাসের স্থান সরজমিনে পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম।
এব্যাপারে ট্যুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস স্থাপনের স্থান সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। ভুঁইয়ারহাট সংলগ্ন ব্রিজের পাশের স্থানটি মনোরম পরিবেশ রয়েছে। দুই মাস পর পর অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন সভায় রিপোটটি পেশ করা হবে। আশা করছি দ্রুত বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস স্থাপনের বিষয়ে ভালো রেজাল্ট পাবে ভোলাবাসি।
এছাড়া মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস স্থাপনের বিষয় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন এবং তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস স্থাপনের বিষয় গত ১৬ই জানুয়ারী বাংলাদেশ টোরিজম বোর্ডের সাথে অনলইন সভায় সর্বপ্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চিন্তানিবাস স্থাপনের বিষয় ট্যুরিজম বোর্ড, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহায়তা চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তাবপত্র(ধারনা পত্র) তৈরি করা হয়েছে। মহান জাতীয় সংসদে এই ধারনা পত্রটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভোলা-৪, আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্য্কাব এমপি সংসদে উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাসের জায়গা নির্ধারনের জন্য জমির প্রস্তাব দেওয়ার কাজ চলমান। বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস বাস্তবায়ন হলেই মনপুরা হবে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থান।
এই সময় মনপুরার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।।
উল্লেখ্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর মহাপ্রলয়নকারী ঘূর্ণীঝড় ও বন্যার আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া মনপুরায় গরীব অসহায় সাধারন মানুষের পাশে ত্রান নিয়ে বন্যার পরবর্তী সময় ১৭ই নভেম্বর এসেছিলেন। তিনি নিজ হাতে ত্রান বিতরন করেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি রুপালী দ্বীপের সহজ সরল মানুষের ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে তিনি মনপুরাকে ভালবেসে ফেলেছেন। চর্তুদিকে মেঘনা নদী বেষ্ঠিত সারি সারি কেওরাবাগান , পাখির কলকাকলিতে মুখরিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভিরাম দৃশ্য দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। সৌন্দর্যের এই আভাস ভূমিকে নিজের মনের মত গড়তে চেয়েছেন। তাই তিনি চিওবিনোদনের জন্য অবকাশকালীন সময়ে শান্তির জন্য মনপুরাতে চিন্তানিবাস স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন। একটি চিন্তানিবাসের জন্য ইট,বালু,সিমেন্ট,রড পাঠিয়ে ছিলেন। কাজও শুরু হয়েছিল। চিন্তানিবাসের ভিওিপ্রস্তর রামনেওয়াজ বাজার সংলগ্ন বড় দীঘির পাশে স্থাপন করা হয়েছিল। সেই বিল্ডিং দীর্ঘদিন পর্যন্ত কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়েছিল। গত ৫/৭বছর পুর্বে মেঘনার তীব্র ভাঙ্গনে সেই নিদর্শন টি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সারা বছর কর্মব্যস্ততম সময় কাটার পর একটু সময় মুক্ত বাতাস ও কিছুটা সময় বিশ্রামে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাস গড়তে চেয়েছিলেন। কিš‘ জাতির জনকের সেই স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বর্ষেও আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
পর্যটক আর ভ্রমন পিপাসু মানুষ কে মুগ্ধতার বন্ধনে আটকে দেওয়ার বহু উপকরন রয়েছে এ দ্বীপে । এখানে সকাল বেলা সুর্য যেমন হাঁসতে হাসঁতে পুর্বদিকে ডিমের লাল কুসুমের মত উদিত হতে দেখা যায় তেমনি বিকেল বেলাতেও আকাশের সিড়ি বেয়ে লাল আভা ছড়াতে ছড়াতে পশ্মিম আকাশে মুখ লুকায়। মনপুরাতে এসেই কেবল সুর্যদয় ও সুর্যাস্ত প্রতক্ষ করা যায় । মুল ভুখন্ডে দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের পাল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে জাতির জনকের সেই স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন চাই মনপুরার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।