মেঘনার ভাঙনের মুখে ভোলার জনপদ।।
স্টাফ রিপোর্ট
হঠাৎ করেই ভয়াল রূপ ধারণ করেছে ভোলার মেঘনা। সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর পয়েন্ট দিয়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয় যাচ্ছে। চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।
গত এক সপ্তাহে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়িসহ বহু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ অন্যত্র ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও টিউব ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত ভাঙন রোধের দাবি এলাকাবাসীর।
ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেঘনার তীব্র স্রোতে ভাঙছে নদীর তীর। এতে ফসলি জমি, বসত ভিটা, গাছপালা ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙনের তীব্রতায় নদীপাড়ের মানুষজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। হুমকির মুখে পড়েছে পুরো ইউনিয়ন।
ভাঙনকবলিত এলাকার আব্দুর রশিদ মাঝি বলেন, আমার বসতঘর ভাঙনের মুখে পড়ায় অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু কোথায় যাবো কোনো ঠিকানা পাচ্ছিনা।
ভাঙনকবলিত এলাকার আলাউদ্দিন, বিউটি বেগম, মরিয়ম, তাসলিমা ও আব্দুল হাইসহ অন্যরা জানালেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা ভাঙনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে আবার তাদের ঘর-বাড়ি ভাঙনের মুখে। আশ্রয় হারিয়ে এখন নিঃস্ব তারা।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান বলেন, গত সাতদিন ধরে শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। স্রোত বাড়ছে সেইসঙ্গে ভাঙনও বাড়ছে। এভাবে ভাঙন চলমান থাকলে এক মাসের মধ্যেই পুরো ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাবে। হুমকির মুখে পড়বে শহর রক্ষা বাঁধও। তাই দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, দ্রুত জিও টিউব ফেলে ভাঙন ঠেকানো হচ্ছে।