ভোলায় কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে হামলা,নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
![](https://www.bholarkhobor.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে মো. আলাউদ্দিন নামের এক রাজমিস্ত্রী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তিনি স্থানীয় একটি ভূমি দস্যু চক্রের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের উপর একাধিকবার হামলার অভিযোগ করেন। রবিবার দুপুরে ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন জানান, তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। ২০১৮ সালে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাপ্তা মৌজার ৮২৭ খতিয়ানে স্থানীয় মো. মোসলেহ উদ্দিন বাচ্চুর কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি কেনার সময় আশপাশের লোকজনকে জমির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা জমি কেনায় সম্মতিও দেয়। পরে জমি কিনে ওই জমিতে গত প্রায় চার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। কিন্তু জমি কেনার পর থেকেই তাদেরকে সেখান থেকে উৎখাত করতে স্থানীয় মো. ওমর ফারুক ওরফে আবুল কাশেম ও মো. সিরাজ মিলে একাধিকবার আলাউদ্দিনের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে তার স্ত্রী ও সন্তানরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ নিয়ে ভোলা থাকায় একাধিক মামলা করা হয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দিলে অভিযোগের আলোকে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গন্যমান্যরা জমির কাগজপত্র নিয়ে একটি মিমাংশা বসেন। সেখানে মো. ওমর ফারুক ওরফে আবুল কাশেম গংদের কোনো জমি নেই মর্মে একটি সালিশনামা দেয়। এর পর থেকেই আবুল কাশেম গং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিভিন্ন সময়ে আলাউদ্দিনের স্ত্রী, শিশু কন্যা ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে একাধিকবার মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে আলাউদ্দিন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পরামর্শে থানায় আরো একটি মামলা করেন। মামলায় ওমর ফারুক ওরফে আবুল কাশেম সহ অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়। পরে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবারও ওই পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে। বর্তমানে তাদের অত্যাচারে আলাউদ্দিনের পরিবার শঙ্কার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকেসহ পুরো পরিবার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন আলাউদ্দিন। বিভিন্ন অজুহাতে ওমর ফারুক ওরফে আবুল কাশেম ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আলাউদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা চালান এসময় তার স্ত্রী ও কন্যাকে শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপসহ জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন আলাউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন তার স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে।
এ বিষয়ে ওমর ফারুক ওরফে আবুল কাশেম, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আলাউদ্দিন আমাদেরকে একের পর এক ১১টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, এবিষয়ে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। আদালত যে নির্দেশনা দিবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।