ঝালকাঠিতে অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিল পৌর প্রশাসক

মোঃ মাছুম বিল্লাহ, কাঠালিয়া প্রতিনিধি : ঝালকাঠি শহরের কামারপট্রিতে রোববার (২৭ অক্টোবর) ঝালকাঠি শহরের কামার পট্টি সড়কের পাশে নির্মানাধীন একটি বহুতল ভবনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি গনমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কাওসার হোসেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭’ সংশোধন আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ কাজ পরিচালনার সময় নির্মাণ স্থলে যথাযথ অস্থায়ী বেষ্টনী স্থাপনসহ নির্মাণাধীন ভবন এবং সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রী (মাটি, বালি, রড, সিমেন্ট, ইত্যাদি) ঢেকে রাখতে হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, “কামার পট্টি সড়কের পাশে ৫.৭৫ শতাংশজমির উপর ৫তলা বিশিষ্ট্য একটি বহুতল ভবন নির্মান করছেন প্রবাসী মেহেদী হাসান হাওলাদার। ভবন মালিক প্রবাসে থাকায় তার বাবা ইউনুস হাওলাদার নির্মান কাজটি করাচ্ছেন। রোববার ভবনটির ৫ম তলার ছাদের ঢালাই চলছিলো। কিন্তু যান চলাচল বিঘ্ন করে সড়কের উপর সিমেন্ট-কঙ্ক্রিট মিক্সার মেশিন বসিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছিলো। এই কাজে নিচ থেকে ৫০ ফুট উপরে পঞ্চম তলার ছাদে একটি লক্কর-ঝক্কর ক্রেন দিয়ে নির্মান সামগ্রী তোলা হচ্ছিলো। যা ছিলো অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ। নির্মানাধীন বহুতল ভবনটিতে ছিলোনা কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী। ঢালাই কাজের সিমেন্ট উড়ে পরছে সড়কে চলাচলরত মানুষের গায়ে এবং পার্শবর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।” সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মান কাজের এমন খবর পেয়ে দুপুরের মধ্যে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয় পৌর প্রশাসক। একই সাথে সড়ক থেকে মেশিন এবং নির্মান সামগ্রী সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়া হয়।
ভবন মালিক মেহেদী হাসানের বাবা ইউনুস হাওলাদার বলেন, ‘শুক্রবার বৃষ্টি থাকায় রবিবার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করাচ্ছি। আগামীতে ভবনটি জাল বা চট দিয়ে ঢেকে কাজ করাবো।’ আর কোনো প্রশ্ন করার আগেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। তবে এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যও অনুরোধ করেন ভবনের কাজে সংস্লিষ্ট আরো কয়েকজনে। ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাওসার হোসেন বলেন, ‘ঝুকি নিয়ে কাজ করা এবং সড়কে নির্মান সামগ্রী রেখে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে লোক পাঠাই এবং তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেই। ভবিষ্যতে সব ধরনের নিরাপত্বা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’