ফেনীতে অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও গাড়ী ভাংচুর

হাসনাত তুহিন, ফেনী প্রতিনিধিঃ- ফেনীতে অবরোধের সমর্থনে ২০টির বেশী গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। রবিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিএনপি-জামায়াতের ডাকা নবম দফার অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এর আগে শহরের ট্রাংক রোডস্থ সেন্ট্রাল হাইস্কুলের সামনের সড়কে ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রদল। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ ছয়টি ও পরে শহরের বাণিজ্যিক এলাকা ইসলামপুর সড়ক সহ ভেতরের বাজারে ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেনের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। তাঁরা অবরোধের সমর্থনে স্লোগান দেন।
এ সময় পিকেটাররা সেন্ট্রাল স্কুলের পাশের স্ট্যান্ডে তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি পিকআপ’সহ ছয়টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল হালিম, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহীম হোসেন ওরফে ইবু পাটোয়ারী, ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল হক প্রমুখ অংশ নেন।
এছাড়াও শহরের ইসলামপুর সড়কে ট্রাক,পিকাপ ও বিভিন্ন যানবাহনে পণ্য উঠা-নামানোর সময় আরও ১৮/২০টি গাড়িতে ভাংচুর চালায় অবরোধ সমর্থকরা।
এ সম্পর্কে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম বলেন, তাঁদের মিছিল করার সময় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর সঙ্গে তাঁদের নেতা-কর্মীরা জড়িত নন। অন্য কেউ ভাংচুর করেছে। ইসলামপুর সড়ক ও ভেতরের বাজারের বিষয়টি তিনি জানেন না।
এদিকে এর আগে সকালে অবরোধের সর্মথনে ফেনী জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে আরও একটি মিছিল বের করা হয়। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে মিছিলটি ফেনী শহরের তাকিয়া রোড থেকে শুরু হয়ে ট্রাংক রোডের বড় মসজিদের গলির মুখে যায়। সেখানে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি শেষ হয়।
ফেনী মডেল থানার (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, দুপুরে কয়েকজন আচমকা সড়কে উঠেই কয়েকটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে চলে যাওয়ার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।